রাশিয়ার এক স্থানীয় রাজনীতিবিদ। প্রেসিডেন্টি ভ্লাদিমির পুতিনের বক্তব্য শুনছিলেন তিনি। আর সেই সময় দেখা যায় ওই রাজনীতিবিদের কান থেকে নুডলস ঝুলছে। এনিয়ে তুমুল শোরগোল পড়ে যায়। তিনি কি ছেলেমানুষি করছিলেন নাকি তিনি প্রতীকী প্রতিবাদে নেমেছিলেন? তবে তাঁর আচরণের জন্য কড়া সাজা পেলেন ওই রাজনীতিবিদ। তাকে ২,০০০ মার্কিন ডলার জরিমানা করা হয়েছে। তিনি দেশের সশস্ত্র বাহিনীকে অমর্যাদা করেছেন বলে অভিযোগ।
মিখাইল আবদাকিন নামে ওই রাজনীতিবিদের ওই স্টান্টকে একেবারেই ভালো চোখে দেখেনি রাশিয়ার প্রশাসন। তিনি কার্যত বোঝাতে চেয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের বক্তব্যকে তিনি বিশ্বাস করেন না। আর তার জেরেই তিনি কানে নুডলস নিয়ে বসেছিলেন। প্রসঙ্গত রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে বর্ষপূর্তিতে ২১ ফেব্রুয়ারি পুতিন এই বক্তব্য পেশ করেছিলেন।
আলদাকিন আসলে একজন কমিউনিস্ট। পুতিনের বক্তব্য তার পছন্দ হয়নি। সেকারণে তিনি প্রতীকী অর্থে কানে নুডলস ঝুলিয়েছিলেন। তবে এটা অনেকের নজর কাড়ে। অভ্যন্তরীন রাজনীতির অস্থিরতা নিয়ে পুতিন কেন এখনও নীরব তা নিয়ে প্রতীকী প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন ওই রাজনীতিবিদ। তাঁকে ১৫০,০০০ রুবেল জরিমানা করা হয়েছে।
এদিকে রাশিয়া সম্প্রতি সেনার ভূমিকা নিয়ে কোনও মিথ্য়ে খবর, কিংবা অমর্যাদাকর মনোভাব পোষণ করলে তার বিরুদ্ধে কঠোরতম ব্যবস্থা নেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে। তাকে জরিমানা করা হচ্ছে। এমনকী কারাদন্ডের নির্দেশও দেওয়া হচ্ছে। মূলত রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পরেই এনিয়ে আরও কড়া পদক্ষেপ নিচ্ছে রাশিয়ার সরকার।
এদিকে ওই ব্যক্তি তার এই নুডলসের ছবি সোশ্য়াল মিডিয়ার মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়েছিলেন। এরপরই এনিয়ে হইচই পড়ে যায়। মনে করা হয় সেদিন পুতিন যে বিষয় নিয়ে বক্তব্য রাখছিলেন তার সঙ্গে ওই স্থানীয় রাজনীতিবিদ একমত নন। তিনি ওই বক্তব্যকে বিশ্বাস করছেন না। যার জেরে তিনি ওই ধরনের ভঙ্গিমা করেছিলেন। মনিটরিং গ্রুপ ওভিডি-ইনফো ওই রাজনীতিবিদের কথাকে সামনে এনেছিল। তিনি এটিকে রসিকতামূলক, প্রতীকী বলে উল্লেখ করেছিলেন। তবে এবার সেই রাজনীতিবিদকে বিপুল অঙ্কের জরিমানা করা হয়েছে।