ঠিক এক বছর আগে , অ্যালেক্সি নভালনির দুই সঙ্গীকে রাশিয়ার উগ্রপন্থা ও সন্ত্রাসবাদীদের তালিকায় রাখা হয়। ততদিনে নভালনির জেলবন্দি দশার এক বছর পূর্ণ হতে চলেছিল। এরপর ২০২২ সালে আরও এক তোপ নভালনি শিবিরকে। জানা গিয়েছে, রাশিয়ায় প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সমালোচক ও বিরোধী নেতা অ্যালেক্সি নভালনিকেও এবার সেদেশের উগ্রপন্থী ও সন্ত্রাসবাদীর তালিকায় রাখা হয়েছে। দাবি সংবাদ সংস্থা এএফপি-র।
উল্লেখ্য, প্রায় এক বছর আগে, নভালনিরক দুই ঘনিষ্ঠ সঙ্গী হিসাবে পরিচিত লিওনিদ ভলকভ ও ইভান ঝাদনভকে সন্ত্রাসবাদীর তালিকায় রাখে রাশিয়া প্রশাসন। যে খবর শুনতেই ইনস্টাগ্রামে ৩৩ বছরের ঝদনভ ৪১ বছর বয়সী ভলকভকে 'কনগ্র্যাচুলেশন ব্রো'-এর বার্তা দেন কটাক্ষের সুরে। উল্লেখ্য, এই ঘটনার আগের একবছর ধরে রাশিয়ার রাজনীতি কার্যত তপ্ত থেকেছে নভালনিকে নিয়ে। এর আগে রাশিয়া প্রশাসন গ্রেফতার করে প্রেসিডেন্ট পুতিনের সবচেয়ে বড় সমালোচক নভালনিকে। তাঁর রাজনৈতিক সংগঠনকে উগ্রপন্থী বলে আখ্যা দেওয়া হয়। উল্লেখ্য, রাশিয়ার বুকে চলতে থাকা একাধিক দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত করতে থাকে নভালনির এই সংগঠন। আর তা যাতে অবিলম্বে বন্ধ করা হয়,তার জন্য জোর দিতে শুরু করা হয় বলে অভিযোগ রয়েছে পুতিন প্রশাসনের বিরুদ্ধে। এদিকে,ততদিনে রাশিয়া প্রশাসনের হাতের বহুদূরে ঝাদনভ ও ভলকভ চলে গিয়েছিলেন বলে জানা যায়।
উল্লেখ্য, পুতিনের বিরুদ্ধে ভোটে দাঁড়িয়ে রাশিয়ার বুকে এক প্রতিবাদী শক্তি হিসাবে উঠে আশার পথে ছিলেন নভালনি। তবে তাঁর প্রার্থীপদের আগেই তাঁকে জেল বন্দি হতে হয়েছে। তাঁর সংগঠনকে উগ্রপন্থী সংগঠন হিসাবে আখ্যা দেওয়া হয়। এরপরই তাঁর বহু ঘনিষ্ঠ রাশিয়া ছেড়ে পালিয়ে যেতে থাকেন। এদিকে, জার্মানিে থেকে রাশিয়ায় পা রাখতেই নভালনি গ্রেফতার হন। এপর্যন্ত তাঁর মুক্তি হয়নি। অভিযোগ ওঠে, জেলবন্দি নভালনিকে বিষ খাওয়ানো হয়। তাতে তিনি অসুস্থ হয়ে কোমায় আচ্ছন্ন থাকেন। তবে তা নিয়ে পুতিন সরকার সেভাবে একচুলও বাক্যব্যায় করেনি। এদিকে, নভালনিকে নতুন করে সন্ত্রাসবাদী আখ্যা দিয়ে পুতিন সরকার কার্যত নিজের সবচেয়ে বড় সমালোচককে নিজের অবস্থান বুঝিয়ে দিয়েছে বলে মত অনেকের।