সম্প্রতি লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় ফের টহল শুরু হয়েছে ভারত ও চিনা সেনার। দীর্ঘদিনের সংঘাত আপাতত শেষ হয়েছে। তবে এর ফলে কি ভারত ও চিনের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক পুরোপুরি ঠিক হয়ে গিয়েছে? রবিবার এই নিয়ে মুখ খুললেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর। ভারত-চিন সম্পর্ক নিয়ে তাঁর বক্তব্য, 'প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায থেকে ভারত ও চিন নিজেদের সেনা সরিয়ে ফেলেছে। এর ফলে এবার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নতির জন্য অন্যান্য পদক্ষেপের পথ খুলে গিয়েছে।' (আরও পড়ুন: তাঁর 'খলিস্তান প্রেম' নিয়ে চর্চার মাঝে কানাডার ৩ হিন্দু মন্দিরে জাস্টিন ট্রুডো)
আরও পড়ুন: 'তলে তলে চুক্তি... হাসিনাকে আশ্রয় কেন?', অনুপ্রবেশ ইস্যুতে শাহকে তোপ হেমন্তের
জয়শংকর বলেন, 'আমরা যাকে ডিসএনগেজমেন্ট বলি, তাতে কিছুটা অগ্রগতি হয়েছে। যখন দুই দেশের সেনা একে অপরের খুব কাছাকাছি ছিল, তখন যে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে পারত। এখন দেখতে হবে, ডিসএনগেজমেন্টের পর আমরা কোন দিকে যাই। তবে আমরা মনে করি, সেনা প্রত্যাহারের বিষয়টি ইতিবাচক পদক্ষেপ। আমরা এটিকে স্বাগত জানাই। যদিও সেনা প্রত্যাহার ইস্যুটির একটি অংশ মাত্র। এবং অচলাবস্থার অন্যান্য দিকও রয়েছে। যা এখনও সমাধান করতে হবে।'
উল্লেখ্য, প্রায় সাড়ে ৪ বছর পর ফের লাদাখের ডেমচকে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছে টহল দিতে শুরু করেছে ভারতীয় সেনা। রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২০ সালের সংঘাতের আগে যে অবস্থান পর্যন্ত ভারতীয় সেনা টহল দিত, এখনও সেখান পর্যন্তই টহল দিচ্ছে ভারতীয় জওয়ানরা। এদিকে ডেপস্যাঙেও শীঘ্রই ভারতীয় সেনা টহল দিতে শুরু করবে বলে দাবি করা হয়েছিল সাম্প্রতিক রিপোর্টে। উল্লেখ্য, লাদাখের ডেপস্যাং এবং ডেমচকে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় সেনা প্রত্যাহার হয়েছে দিওয়ালির আগেই।
প্রসঙ্গত, বিগত কয়েক বছর ধরেই ডেপস্যাং এবং ডেমচকে ভারতীয় সেনাকে টহলে বাধা দিচ্ছিল চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মি বা পিএলএ। তবে রিপোর্টে দাবি করা হয়, এই দুই জায়গায় ভারতীয় সেনার টহলদারির অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হবে অক্টোবরের শেষ সপ্তাহেই। রিপোর্টে জানা গিয়েছিল, ডেমচকে এর আগে চিন তাঁবু খাটিয়ে বসেছিল প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার ভারতীয় দিকে। তবে সেই সমস্যা কিছু দিন আগেই মিটেছে। তবে এরই মধ্যে ডেপস্যাঙের সমস্যারও সমাধাম সূত্র বেরিয়ে আসে সামরিক পর্যায়ের আলোচনায়। উল্লেখ্য, এই ডেপস্যাঙের ওয়াই জংশনে স্থায়ী স্থাপত্য গড়েছে চিনা সেনা। এই ওয়াই জংশন হয়েই প্যাট্রলিং পয়েন্ট ১১, ১১এ, ১২ এবং ১৩-তে যেতে হয় ভারতীয় সেনাকে। রিপোর্টে দাবি করা হয়, ২০২০ সালের এপ্রিলের আগের অবস্থাতেই ফিরছে ডেপস্যাং এবং ডেমচক। এই আবহে সেনা প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া সম্পন্ন। ডেমচকে শুরু হয়ে গিয়েছে ভারতীয় সেনার টহল। তবে দুই দেশের সম্পর্ক পুরোপুরি স্বাভাবিক হতে আরও কিছুটা সময় যে লাগবে, তা জয়শংকরের কথায় স্পষ্ট।