লোকসভায় মঙ্গলবার বক্তব্য রাখেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর। যখন মনে করা হচ্ছিল যে, জয়শংকর সংসদে, বাংলাদেশ নিয়ে বক্তব্য রাখতে পারেন, তখন দেখা যায়, সংসদে বিদেশমন্ত্রী চিন ইস্যুতে বর্তমান পরিস্থিতির সাপেক্ষে বক্তব্য রাখেন। কী বললেন জয়শংকর?
তাঁর বক্তব্যে সীমান্ত সমস্যা নিয়ে সংসদে বক্তব্য রাখেন জয়শঙ্কর। তিনি জানান, সীমান্ত সমস্যা রুখতে অক্টোবর মাসের টহলদারি সংক্রান্ত সমঝোতা সহ সেনার স্তরে ও কূটনৈতিক স্তরে আলোচনা সুবিধার জায়গা এনে দেয়। সংসদে বিদেশমন্ত্রী বলেন, ২০২০ সাল থেকে স্বাভাবিক জায়গায় ছিল না ভারত ও চিনের সম্পর্ক। চিনা আগ্রাসনের প্রভাবে সীমান্তে শান্তি ও স্থিতাবস্থা লঙ্ঘিত হয়। জয়শংকর জানান, বহু কূটনৈতিক পর্যায়ের পর ভারত ও চিনের সম্পর্কে উন্নতি দেখা গিয়েছে। এছাড়াও দুই দেশের সম্পর্ক যাতে আগামিদিনেও ভালো যায়, তার ক্ষেত্রেও কূটনৈতিক আলোচনা প্রভাব বিস্তার করেছে।
বিদেশমন্ত্রী বলেন,' সাম্প্রতিক ঘটনাবলী যা ক্রমাগত কূটনৈতিক ব্যস্ততার প্রতিফলন ঘটায় ভারত-চিন সম্পর্ককে কিছুটা উন্নতির দিকে নিয়ে গিয়েছে।' তিনি বলেন,' আগামী দিনগুলিতে, আমরা সীমান্ত এলাকায় কর্মকাণ্ডের উত্তেজনা হ্রাস এবং কার্যকর ব্যবস্থাপনা উভয় বিষয়েই আলোচনা করব। বিচ্ছিন্নতার পর্বের সমাপ্তি এখন আমাদের দ্বিপাক্ষিক আলোচনার অন্যান্য দিকগুলিতে ফোকাস করতে সক্ষম করে।' এরপরই ডি-এসকালেশন নিয়ে এগোতে চায় দিল্লি।
জয়শংকর বলেন,' পরবর্তী অগ্রাধিকার হবে ডি-এসকালেশন বিবেচনা করা যা এলএসি বরাবর সৈন্য জমায়েতে সমাধান করবে। তাৎক্ষণিক অগ্রাধিকার ছিল ফ্রিকশন পয়েন্ট থেকে ডিসএনগেজমেন্ট নিশ্চিত করা, এটি সম্পূর্ণরূপে অর্জন করা হয়েছে।' ভারতের লাদাখ সীমান্তে ২০২০ সালে চিনের সেনার আগ্রাসনের প্রেক্ষিতে ভারতীয় সেনার মোকাবিলা প্রসঙ্গে জয়শংকর বলেন,' আমাদের ফোর্সের কৃতিত্ব যে তারা কোভিড সহ বহু ব্যবস্থাপনাগত চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও চিনের মোকাবিলা করেছে।'
চিনের সঙ্গে আলোচনা নিয়ে ভারতের বিদেশমন্ত্রী বলেন, 'আমরা সীমানা বিষয়ে নিষ্পত্তির জন্য ন্যায্য, পারস্পরিক গ্রহণযোগ্য কাঠামোতে পৌঁছানোর জন্য চিনের সাথে জড়িত থাকার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।' জাতীয় নিরাপত্তা প্রসঙ্গে জয়শংকর বলেন,' আমাদের জাতীয় নিরাপত্তা স্বার্থকে সর্বাগ্রে রেখে, বিদেশমন্ত্রী (চিনের) ওয়াং ইয়ের সাথে আমার সাম্প্রতিক বৈঠকে, আমরা একটি সমঝোতায় পৌঁছেছি যে বিশেষ প্রতিনিধি এবং বিদেশ সচিব পর্যায়ের প্রক্রিয়া শীঘ্রই আহ্বান করা হবে।'