হজরত মহম্মদকে নিয়ে সাসপেন্ডেড বিজেপি নেত্রী নূপুর শর্মার মন্তব্য ইস্যুতে বিভিন্ন দেশ ভারতের কাছে 'জবাবদিহি' চেয়েছিল। তবে এই বিষয়টিকে অন্য দেশের 'লেকচার' হিসেবে দেখতে নারাজ ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর। শনিবার একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলের 'টাউনহল' অনুষ্ঠানে জয়শংকর ফের একবার জানিয়ে দেন যে নূপুর শর্মা এবং নবীন জিন্দলের মন্তব্যের সঙ্গে ভারত সরকার কোনও ভাবেই সমহত পোষণ করে না।
এদিন অনুষ্ঠানে জয়শংকর বলেন, 'আমি লেকচার শোনার বিষয়ে কিছুটা সংবেদনশীল। তবে আমি এই বিষয়টিকে (মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলি ভারতের কাছে জবাবদিহি চাওয়া) লেকচার হিসেবে নেব না। আমি মনে করি এটি এমন একটি সমস্যা যেখানে মানুষের সংবেদনশীলতা প্রভাবিত হয়েছিল। তাই তারা তা প্রকাশ করছিল।' পাশাপাশি জয়শংকর জানান, যে দেশগুলি তাদের সংবেদনশীলতা তুলে ধরে তারা এই বিষয়টিরও প্রশংসা করেন যে ভারত সরকার এই অবস্থান গ্রহণ করে না। তিনি বলেন, 'তারা তাদের উদ্বেগের কথা জানিয়েছে এবং তারা জানে যে এই মন্তব্য সরকারের অবস্থানকে প্রতিফলিত করে না।'
উল্লেখ্য, সম্প্রতি একটি তথ্যযাচাইকারী ওয়েবসাইটের প্রতিষ্ঠাতা মহম্মদ জুবায়ের বিজেপির প্রাক্তন মুখপাত্র নূপুর শর্মার একটি ভিডিয়ো টুইট করেছিলেন। জ্ঞানবাপী মসজিদ সংক্রান্ত একটি আলোচনাসভায় নূপুর বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন বলে দাবি করা হয়। সেই ঘটনা নিয়ে তুমুল বিতর্ক শুরু হয়। সেই পরিস্থিতিতে নূপুরকে সাসপেন্ড করে দেয় বিজেপি। সেই ঘটনায় নাম উঠে আসা অপর বিজেপি মুখপাত্র নবীনকুমার জিন্দলকে বহিষ্কার করে দেওয়া হয়। সেই প্রেক্ষিতে নূপুর ক্ষমা চেয়ে নিয়েছেন। নিজের মন্তব্যের ব্যাখ্যা দিয়েছেন নূপুর। এরই মাঝে অবশ্য মধ্যপ্রাচ্যের ১৫টি দেশ এই বিতর্কিত ইস্যু নিয়ে ভারতের জবাবদিহি চায়। এই বিতর্কের আবহে এক বিবৃতি প্রকাশ করে বিজেপির তরফে জানিয়ে দেওয়া হয় যে কোনও ধর্মীয় ভাবাবেগকে আঘাত করা মন্তব্যকে দল সমর্থন করে না।