রাজস্থানের কংগ্রেসের অন্দরে যে কোন্দলের ছাইচাপা আগুন রয়েছে, তা বহুবার বেরিয়ে পড়েছে প্রকাশ্যে। এবারে নতুন করে সেই কোন্দলকে ফের একবার টেনে আনলেন রাজস্থান কংগ্রেসের তরুণ তুর্কী নেতা সচিন পাইলট। সদ্য, রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী তথা বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা অশোক গেহলোট, রাজস্থানের ঢোলাপুরের এক সভায় দাবি করেন ২০২০ সালে তাঁর সরকার পড়ে যাওয়া থেকে তাঁকে রক্ষা করেছিলেন বিজেপির বসুন্ধরা রাজে। অশোকের সেই বক্তব্য নিয়ে কার্যত পাল্টা তোপ দাগেন সচিন।
সচিন পাইলট বলেন, ‘ গেহলোটের ভাষণ শোনার পর মনে হচ্ছে, তাঁক নেত্রী রাজেই, সনিয়া গান্ধী নন।’ এরই সঙ্গে সচিন পাইলট বলেন, ‘ তাঁর (অশোক গেহলোট) অভিযোগ ছিল, বিজেপি তাঁর সরকারকে ফেলে দিতে চেয়েছিল, এখন তিনি বলছেন, সরকার ফেলার হাত থেকে তাঁকে রক্ষা করেন বিজেপির নেতা। তাঁর উচিত এই পরম্পর বিরোধী মন্তব্যকে ব্যাখ্যা করা।’ সচিন এক ধাপ এগিয়ে, সাংবজিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, ‘কিছু মানুষ কংগ্রেসকে দুর্বল করে দিতে চাইছে। আমরা তাঁদের সফল হতে দেব না। গেহলোটের ভাষণ শোনার পর বুঝে গিয়েছি, আমরা কেন গত ৪.৫ বছরে দুর্নীতি মামলাগুলি নিয়ে কিছু করতে পারিনি।’ সাফ বার্তায় সচিন পাইলট বলেন, ‘কোনও নেতাই জনতার থেকে বড় নয়।’
( নাবালকের ক্ষতস্থানে স্টিচের বদলে আঠা লাগানোর অভিযোগ চিকিৎসকের বিরুদ্ধে!)
সচিন পাইলটের এই গেহলোট বিরোধী ঝোড়ো বার্তা যে কংগ্রেসকে নতুন করে সমস্যায় ফেলছে, তা বলাই বাহুল্য। যেখানে সারা দেশে মাত্র ২ টি রাজ্যে রয়েছে কংগ্রেসের সরকার, যার মধ্যে একটি রাজস্থান, সেখানে সচিনের এমন দলীয় ফাটলকে প্রকাশ্যে ফের আনার ঘটনা স্বভাবতই খাড়গেকে উদ্বেগে রাখবে। উল্লেখ্য, কর্ণাটকে বিধানসভা ভোটে তখন দখলের লক্ষ্যে মুখিয়ে রয়েছে কংগ্রেস। ঠিক কর্ণাটক ভোটের আগে সচিন পাইলটের মন্তব্য কংগ্রেসকে ব্যাকফুটে ফেলে কিনা সেদিকে তাকিয়ে জনতা। এদিকে, আসন্ন সময়ে রাজস্থানেও রয়েছে ভোট। সেই দিক থেকে সচিনের এই বার্ত ও তাঁর আগামি দিনের কর্মচূতি ঘোষণার পদক্ষেপ ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। আগামি ১১ মে থেকে জয়পুর থেকে আজমেঢ়ের দিকে ‘জনসংঘর্ষ যাত্রা’শুরু করতে চলেছেন সচিন পাইলট।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup