গতকালই সনিয়া গান্ধীর সঙ্গে বৈঠক করে বিধায়কদের ‘বিদ্রোহে’র জন্য ক্ষমা চেয়ে নিয়েছিলেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট। পাশাপাশি তিনি জানিয়ে দিয়েছিলেন যে কংগ্রেস সভাপতি পদের জন্য তিনি লড়াই করবেন না। এরই মধ্যে সূত্র মারফত জানা যায়, অশোক গেহলটের ভবিষ্যৎ নিয়ে এক-দুই দিনের মধ্যেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন সনিয়া গান্ধী। এই সব জল্পনার মাঝেই গতকাল সন্ধ্যায় রাজস্থানের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী সচিন পাইলট দেখা করেন সনিয়া গান্ধীর সঙ্গে। এই বৈঠক ঘিরে জোর গুঞ্জন ছিল রাজনৈতিক মহলে।
এদিন সনিয়াক সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সচিন অবশ্য সোনালেন ২০২৩ সালের প্রস্তুতির বাণী। বর্তমান বিতর্ক নিয়ে মুখ খোলেননি তিনি। বরণ সচিনের বক্তব্য, 'বলা হয়, বিজেপি হোক বা কংগ্রেস, রাজস্থানে প্রতি পাঁচবছর অন্তর সরকার বদল হয়। তবে এই ধারাবাহিকতা বদলাতেই পারে। ২০২৩ সালে লাগাতার দ্বিতীয়বারের মতো কংগ্রেস রাজস্থানে সরকারে আসতেই পারে। কংগ্রেসের না জেতার কোনও কারণ আমি দেখতে পাচ্ছি না। আমরা এই লক্ষ্যে কাজ করব।'
এদিকে গতকাল সনিয়া গান্ধীর সঙ্গে দেখা করে অশোক গেহলট ক্ষমা চান বলে জানা গিয়েছে। পাশাপাশি কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচনে লড়াই না করার ঘোষণা করেন। এদিকে সাংবাদিকরা গেহলটকে তাঁর ভবিষ্যৎ প্রসঙ্গে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, ‘সনিয়া গান্ধী জানেন।’ উল্লেখ্য, রাজস্থানে কংগ্রেসের ‘গৃহযুদ্ধে’র নেপথ্যে ছিলেন গেহলট অনুগত ৮২ বিধায়ক। সচিন পাইলটকে মুখ্যমন্ত্রী করা হলে একযোগে সবাই মিলে পদত্যাগ করার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। এই আবহে সরকার পড়ে যাওয়ার জোগাড় হয়েছিল রাজ্যে। এদিকে গেহলট দাবি করে এসেছেন যে এই বিদ্রোহে তাঁর কোনও ভূমিকা নেই। তাও কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভাপতি সনিয়া গান্ধী অসন্তুষ্ট ছিলেন গেহলটের প্রতি। রাজস্থানের বিধায়কদের বিদ্রোহের আগে পর্যন্ত কংগ্রেস সভাপতি হওয়ার দৌড়ে সবচেয়ে এগিয়ে ছিলেন অশোক গেহলটই। তবে এখন তিনি আর নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাই করবেন না। এই আবহে তিনি পাইলটের কাছে নিজের কুর্সি হারান কি না, সেদিকে নজর সবার।