কংগ্রেসের অন্তর্দ্বন্দ্বে রাজস্থানের রাজনৈতিক পারদ ক্রমেই চড়ছে। কংগ্রেসের অন্তর্বর্তী সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী এবং রাজস্থানের প্রাক্তন উপ মুখ্যমন্ত্রী সচিন পাইলটের বৈঠকের পর থেকেই জল্পনা চলছে যে কংগ্রেস হাইকমান্ড পাইলটকে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী করতে পারে। এই সমস্ত জল্পনার মধ্যেই রাজস্থানের মন্ত্রী প্রতাপ সিং খাচারিয়াওয়াসের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করলেন সচিন পাইলট। প্রতাপ সিং রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটের ঘনিষ্ঠ এবং পাইলটের বিরোধী হিসেবেই পরিচিত। সচিন পাইলটন পাইলট খাচারিয়াওয়াসের বাড়িতে তাঁর সঙ্গে দেখা করেন। রাজস্থানের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে এই বৈঠক তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
রাজস্থানের গদি থেকে সরছেন গেহলট? সনিয়ার সঙ্গে বৈঠকের পর যা বললেন পাইলট
যদিও তাদের মধ্যে কি আলোচনা হয়েছে সে সম্পর্কে বিশেষ কিছু বলতে চান খাচারিয়াওয়াস। তিনি শুধু বলেছেন, ‘আমি এবং পাইলট অধিবেশনে একই পাশাপাশি বসেছি।’ খাচারিয়াওয়াস তাদের মধ্যে যে কোনও বিরোধ রয়েছে সে কথা অস্বীকার করে বলেছেন, ‘তার এবং পাইলটের মধ্যে সর্বদা কথা হয়। বাড়িতে তাদের দেখা নতুন কিছু নয়।’ মন্ত্রী আরও বলেন, ‘পাইলট বাড়িতে এসে থাকলে তো বোঝাই যাচ্ছে কেউ ভজন কীর্তন করবে না।’ অন্যদিকে, গেহলটের প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আমি তার মন্ত্রিসভার একজন মন্ত্রী। আমি মুখ্যমন্ত্রীর সাথেও দেখা করি।’ পদত্যাগের প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘সরকার এখন চলছে।’
খাচারিয়াওয়াসকে একসময় পাইলটের ডান হাত হিসাবে গণ্য করা হত। এখন তিনি গেহলট শিবিরের সবচেয়ে স্পষ্টবাদী নেতাদের মধ্যে একজন। উল্লেখ্য, কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচন ঘিরে রাজস্থান কংগ্রেসের অন্দরের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এসেছে। রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রীর অশোক গেহলটের সভাপতি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার কথা উঠতেই মুখ্যমন্ত্রীর গদি ছাড়ার প্রসঙ্গ ওঠে। সেই দৌড়ে সচিন পাইলটের নাম উঠতেই গেহলট অনুগামী ৯২ জন বিধায়ক ইস্তফার দেওয়ার হুমকি দেন। ফলে সরকার পড়ে যাওয়ারও সম্ভাবনা তৈরি হয়।