বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন না রাজস্থানের উপ-মুখ্যমন্ত্রী সচিন পাইলট। গেরুয়া শিবিরের সঙ্গে তিনি কোনও বৈঠকও করছেন না। ‘হিন্দুস্তান টাইমস’-কে একথাই জানালেন পাইলটের এক ঘনিষ্ঠ নেতা।
তবে সোমবার সকালে মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট কংগ্রেস বিধায়কদের যে বৈঠক ডেকেছেন, তাতে পাইলয় যোগ দিচ্ছেন না জানিয়েছেন ওই নেতা। আপাতত প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি দিল্লিতেই থাকছেন। পাইলটের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ওই নেতার ইঙ্গিত, বিধানসভার অধিবেশন না চললেও কীভাবে মুখ্যমন্ত্রী উইপ জারি করতে পারেন। তাছাড়া বৈঠক তো মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে হবে। সেক্ষেত্রে কীভাবে উইপ জারি করা যেতে পারে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ওই নেতা।
গতরাত আড়াইটের সময় সাংবাদিক বৈঠকে রাজস্থান কংগ্রেসের দায়িত্বপ্রাপ্ত অবিনাশ পাণ্ডে বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটের নেতৃত্বাধীন সরকার এবং সোনিয়া ও রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বের প্রতি আস্থা ও সমর্থন জানিয়েছে মোট ১০৯ জন বিধায়ক চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন কয়েকজন বিধায়ক এবং সকালের মধ্যে তাঁরাও সমর্থনের চিঠিতে স্বাক্ষর করবেন।’
পাণ্ডে জানান, সোমবার সকালে কংগ্রেস বিধায়কদের বৈঠকের জন্য উইপ জারি করা হয়েছে। অর্থাৎ বৈঠকে সব বিধায়কদের বাধ্যতামূলকভাবে উপস্থিত থাকতে হবে। কোনও কারণ না জানিয়েই যে বিধায়করা অনুপস্থিত থাকবেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ারও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।
সরকার বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টায় রবিবার সন্ধ্যায় জয়পুরে এসেছেন দলের দুই কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা এবং অজয় মাকেন। লক্ষ্য, গেহলট এবং পাইলটের মধ্যে দ্বন্দ্ব মেটানো। পরিস্থিতি কার্যত হাতের বাইরে বেরিয়ে যাওয়ার পর কংগ্রেসের হাইকমান্ড নড়েচড়ে বসলেও পাইলটের অনুগামীদের দাবি, দিন ১৪ আগেই পাণ্ডে এবং দিল্লিতে কংগ্রেসের সম্পাদক কে সি ভেনুগোপাল ও বর্ষীয়ান নেতা আহমেদ প্যাটেলের সঙ্গে দেখা করে গেহলটের সঙ্গে সমস্যার বিষয়ে জানিয়েছেন উপ-মুখ্যমন্ত্রী। পাইলটের এক ঘনিষ্ঠ নেতা বলেন, ‘তাঁর উদ্বেগের সমাধান করা হয়নি।’