রাজস্থানে অব্যাহত রাজনৈতিক অচলাবস্থা। সকালে মুখ্যমন্ত্রী গেহলটের নিবাসে কংগ্রেস বিধায়ক দলের বৈঠক হয়। অনুপস্থিত ছিলেন উপমুখ্যমন্ত্রী তথা রাজস্থান কংগ্রেসের সভাপতি সচিন পাইলট। এরপর বিধায়কদের নিয়ে রিসর্টে চলে যান অশোক গেহলট।
রাতে অবশ্য সচিন পাইলটের ঘনিষ্ঠদের তরফ থেকে একটি ভিডিও প্রকাশ করা হয় যেখানে কয়েকজন বিধায়ককে দেখা গিয়েছে। তাঁর হাতে যে এখনও কিছু তাস আছে এই ভিডিওর মাধ্যমে সেটা প্রকাশ করলেন সচিন পাইলট বলে ওয়াকিবহাল মহলের অভিমত।
এদিন সারাদিন গেহলট ঘনিষ্ঠ তিনটি ব্যবসায়ী গোষ্ঠীর কুড়িটি স্থানে তল্লাশি চালিয়েছে আয়কর দফতর। এই ভাবে বিজেপি রাজস্থানে ক্ষমতায় আসতে চাইছে বলে অভিযোগ করেন কংগ্রেসের প্রধান মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালা।
সুরজেওয়ালা বলেন যে সচিন পাইলট ও অন্য বিক্ষুব্ধদের জন্য দরজা খোলা আছে। তাঁরা চাইলে এসে নিজেদের সমস্যার কথা বলতে পারেন। মঙ্গলবার ফের কংগ্রেস বিধায়ক দলের বৈঠক আছে। সেখানও সচিন পাইলটকে আসতে অনুরোধ করেন সুরজেওয়ালা। একই সঙ্গে তিনি বলেন যে ১০৭ বিধায়কের সমর্থনের চিঠি আছে তাঁর কাছে।
এরপরেই ভিডিও প্রকাশ করা হয় সচিন শিবির থেকে। সেখানে ইন্দর রাজ গুর্জর, পিআর মীনা, জিআর খাতানা, হরিশ মীনা প্রভৃতি কংগ্রেস বিধায়কদের দেখা যায়। ফলে সচিনের কাছেও যে বিধায়ক আছে সেটা স্পষ্ট। কিন্তু সেই বিধায়ক দিয়ে তিনি সরকার ফেলতে পারবেন কিনা, সেটাই দেখার। মঙ্গলবারের বৈঠকেও সচিন অনুপস্থিত থাকবেন বলে সূত্রের খবর।
এদিন গেহলট ঘনিষ্ঠ বেশ কিছু ব্যবসায়ীর বাড়ি ও দোকানে আইটি তল্লাশি বয়েছএ। আমরপালি জুয়েলার্সের রাজীব আরোরা-যিনি রাজস্থান কংগ্রেসের উপ সভাপতিও তাঁর সম্পতির ওপর রেড হয়েছে। রুপোর ব্যবসায় অসঙ্গতির অভিযোগে এই তল্লাশি।
ওম কোঠারি গ্রুপ যাদের বিভিন্ন রকমের ব্যবসা আছে ও মায়াঙ্ক শর্মা এন্টারপ্রাইজের ওপরেও তল্লাশি হয়েছে। এই মায়াঙ্ক শর্মার ব্যবসার সঙ্গে অশোক গেহলটের ছেলে বৈভবের যোগ আছে বলে অভিযোগ।
সব মিলিয়ে জয়পুর, মুম্বই, দিল্লি ও কোটার কুড়িটি জায়গায় তল্লাশি চালিয়েছেন ৮০ জন অফিসার। এই সমস্ত রেড রাজনৈতিক কারণে বলেই অভিযোগ কংগ্রেসের। স্বভাবতই এই তত্ব উড়িয়েছে আইটি দফতর।