আগামী বছর রাজস্থানে বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। এর আগেই ফের একবার প্রকাশ্যে চলে সচিন পাইলট এবং অশওক গেহলটের দ্বন্দ্ব। এর আগে কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচনের প্রাক্কালে সচিন-অশোক দ্বন্দ্ব চরমে উঠেছিল। পরিস্থিতি এমনই হয়ে গিয়েছিল যে গেহলটপন্থী ৮০ জনেরও বেশি বিধায়ক পদত্যাগ করার হুমকি দিয়েছিলেন। এই আবহে ‘বিদ্রোহী’ বিধায়কদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার জন্য কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়গের কাছে আবেদন জানালেন সচিন পাইলট।
উল্লেখ্য, এর আগে গেহলট অনুগত বিধায়কদের বিদ্রোহের জেরে চরম অস্বস্তিতে পড়েছিল কংগ্রেস। এই আবহে সচিন পাইলট সাংবাদিকদের বলেন, ‘কংগ্রেস একটি পুরানো দল। এই দলের নিয়ম, কোনও নেতা যত সিনিয়রই হোক না কেন সবাই সমান। আমি নিশ্চিত নতুন সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়গে (বিদ্রোহী বিধায়কদের বিরুদ্ধে) ব্যবস্থা নেবেন।’ পাইলট আরও বলেন, ‘অজয় মাকেন এবং খড়গে বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়েছেন। এআইসিসি-র চোখে এটি শৃঙ্খলাভঙ্গের ঘটনা। দল তিনজনকে নোটিশ পাঠিয়েছে এবং তারা ইতিমধ্যেই জবাব দিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। শীঘ্রই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ এরপর গেহলটকে খোঁচা দিয়ে সচিন বলেন, ‘এটা মজার বিষয় গতকাল প্রধানমন্ত্রী (মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটের) প্রশংসা করেছেন। এটাকে হালকাভাবে নেওয়া উচিত নয়। কারণ প্রধানমন্ত্রী একইভাবে এর আগে সংসদে গুলাম নবি আজাদের প্রশংসা করেছিলেন। আমরা সবাই দেখেছি এরপর কী হয়েছিল।’
প্রসঙ্গত, কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচনে প্রথমে অশোক গেহলটের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কথা ছিল। তবে এরপরই ‘এক ব্যক্তি, এক পদ’ নীতি অনুসারে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে তাঁর পদত্যাগের দাবি ওঠে। তবে কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচনে লড়াই করার কথা ঘোষণা করেও রাজস্থানের রাশ নিজের হাত থেকে ছাড়তে চাইছিলেন না অশোক গেহলট। এরই মাঝে হাইকমান্ডকে অস্বস্তিতে ফেলে বিদ্রোহ ঘোষণা করেন গেহলট অনুগত বিধায়করা। রাজস্থানে কংগ্রেসের ‘গৃহযুদ্ধে’র নেপথ্যে ছিলেন গেহলট অনুগত ৮২ বিধায়ক। সচিন পাইলটকে মুখ্যমন্ত্রী করা হলে একযোগে সবাই মিলে পদত্যাগ করার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। এই আবহে সরকার পড়ে যাওয়ার জোগাড় হয়েছিল রাজ্যে। উল্লেখ্য, এই বিদ্রোহের আগে পর্যন্ত পরবর্তী কংগ্রেস সভাপতি হওয়ার দৌড়ে সবচেয়ে আগে ছিলেন অশোক গেহলটই। তবে তিনি আর কংগ্রেস সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেননি। তাঁর বদলে গান্ধী ঘনিষ্ঠ খড়গে দলের সভাপতি নির্বাচনে লড়েন এবং জেতেন।