পতৌদি পরিবারের ১৫,০০০ কোটি টাকার সম্পত্তি কি কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে চলে যাবে? তেমনই একটি সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্টের একটি রায়ের পরে। আসলে এরকম সম্পত্তি অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে ২০১৫ সালে যে স্থগিতাদেশ জারি করা হয়েছিল, সেটা সম্প্রতি তুলে নেওয়া হয়েছে। আর সেটার ফলেই ১৯৬৮ সালের শত্রু সম্পত্তি আইনের আওতায় পতৌদি পরিবারের ১৫,০০০ কোটি টাকার সম্পত্তি সরকারের হাতে চলে যাওয়ার পথ খুলে গিয়েছে। যদিও বিষয়টি নিয়ে আপাতত পতৌদি পরিবার বা সরকারের তরফে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।
ওই সম্পত্তি আইনে কী আছে?
যে আইনের ভিত্তিতে অভিনেতা শর্মিলা ঠাকুর, সইফ আলি খানদের পৈতৃক সম্পত্তি (মধ্যপ্রদেশে আছে, বেশিরভাগটা আছে ভোপালে) সরকারের হাতে চলে যেতে পারে, সেই ১৯৬৮ সালের শত্রু সম্পত্তি আইন অনুযায়ী, দেশভাগের পরে যাঁরা পাকিস্তান চলে গিয়েছেন, তাঁদের সম্পত্তি নিজেদের হাতে নিয়ে নিতে পারে কেন্দ্রীয় সরকার।
ভোপালের নবাবের পারিবারিক ইতিবৃত্ত
ইতিহাস অনুযায়ী, ভোপালের শেষ নবাব হামিদুল্লাহ খানের তিন মেয়ে ছিলেন। বড় মেয়ে আবিদা সুলতান ১৯৫০ সালে পাকিস্তানে চলে গিয়েছিলেন। মেজো মেয়ে সাজিদা সুলতান সাজিদা সুলতান থেকে গিয়েছিলেন ভারতেই। বিয়ে করেছিলেন নবাব ইফতিকার আলি খান পতৌদিকে। হয়ে উঠেছিলেন আইনি উত্তরাধিকারী।
সেই সাজিদার নাতি হলেন সইফ। উত্তরাধিকার সূত্রে সইফের নামেও সম্পত্তি থাকার কথা আছে। ২০১৯ সালে সাজিদাকে পতৌদি পরিবারের উত্তরাধিকারী হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছিল আদালত। কিন্তু আবিদা যে পাকিস্তানে চলে গিয়েছিলেন, সেটা একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে তুলে ধরা হয়েছিল। ফলে একটা সংঘাত ও বিতর্কের জায়গা থেকেই গিয়েছে।
আরও পড়ুন: Saif Ali Khan: ৬ বার ছুরির কোপ! হাসিমুখে বাড়ি ফিরলেন, সইফের নিরাপত্তার দায়িত্ব নিলেন এই অভিনেতা
তারইমধ্যে সম্প্রতি হাইকোর্ট জানিয়েছে, ২০১৭ সালের সংশোধিত শত্রু সম্পত্তি আইনের আওতায় একটি বিধিবদ্ধ প্রতিকার আছে। আর সংশ্লিষ্ট পক্ষকে ৩০ দিনের মধ্যে নিজেদের মতামত পেশ করার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। বিচারপতি বিবেক আগরওয়াল জানান, হাইকোর্টের নির্দেশের ৩০ দিনের মধ্যে যদি (কোনও পক্ষ) নিজেদের মতামত দাখিল করেন, তাহলে যোগ্যতার ভিত্তিতে আবেদন বিচার করতে হবে।
ছুরি নিয়ে হামলা হয়েছিল সইফের উপরে
আর সেই বিষয়টি এমন একটা সময় সামনে এসেছে, যখন হামলার শিকার হয়েছেন সইফ। মুম্বইয়ের বান্দ্রার বাড়িতে তাঁর উপরে ছুরি নিয়ে হামলা চালানো হয়। তার জেরে গুরুতর আহত হন বলিউড তারকা। ভরতি করতে হয় হাসপাতালে। ছয়দিন পরে মঙ্গলবার তিনি হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরেছেন। সেই ঘটনায় বেআইনিভাবে ভারতে ঢোকা বাংলাদেশি শরিফুল ইসলাম শেহজাদকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অভিযোগ উঠেছে যে বিজয় দাস নামে ভারতে থাকছিল শরিফুল।