মুম্বইতে সইফ আলি খানের ওপর হামলার ঘটনায় ধৃত শরিফুল ইসলাম শেহজাদের বাবা নাকি বাংলাদেশে একজন বিএনপি নেতা। নাম মহম্মদ রহুল আমিন। এই আবহে রুহুলের দাবি, সইফকাণ্ডের পরে সিসিটিভিতে যাকে দেখা যাচ্ছে, সে তার ছেলে নয়। এই আবহে ছেলে শরিফলুকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন রুহুল আমিন। এদিকে কেন শরিফুল বাংলাদেশ থেকে ভারতে অনুপ্রবেশ করেছিল? সেই বিষয়ে তার বাবা বলেন, 'হাসিনা সরকারের কারণেই ছেলেকে বাংলাদেশ থেকে ভারতে চলে যেতে হয়।' (আরও পড়ুন: ১৪ অগস্টের পর… আদালতে বড় কথা জানান CBI-এর সীমা,খুন-ধর্ষণের পুনর্নির্মাণ হয়েছিল?)
আরও পড়ুন: আরজি করের বেঞ্চে শুয়ে ছিল 'রহস্যময়', ২ রাত আগেও নির্যাতিতার কাছে যায় এক মত্ত
এদিকে সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যাওয়া ব্যক্তির সঙ্গে নিজের ছেলের মুখের 'মিল নেই' দবি করে রুহুল বলেন, 'আমার ছেলে গত ৩০ বছরে কখনও চুল বড় করেনি। সিসিটিভিতে যাকে দেখা গিয়েছে তাঁর সঙ্গে আমার ছেলের চেহারার মিল নেই। আমার বিশ্বাস আমার ছেলেকে ফাঁসানো হচ্ছে। ও বাংলাদেশ ছেড়ে ভারতে যায় এখানকার টালমাটাল অবস্থার জন্য। ও তো এক জায়গায় চাকরি করত। সেখানে ও বেতন পেত। এমনকী ওর মালিক ওকে পুরস্কারও দিয়েছিল।' (আরও পড়ুন: আরজি কর কাণ্ডে দোষী সঞ্জয়ের ফাঁসি চেয়ে CBI মামলার শুনানি কবে? জানাল হাই কোর্ট)
আরও পড়ুন: রুশ তেলে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার প্রভাব পড়বে ভারতে? জবাব দিলেন ইন্ডিয়ান অয়েল প্রধান
এদিকে সইফকাণ্ডে মুম্বই পুলিশের তদন্ত নিয়ে কংগ্রেসও সন্দেহ প্রকাশ করেছে সম্প্রতি। হাত শিবিরের প্রশ্ন, গ্রেফতার হওয়া শরিফুল এবং সিসিটিভিতে দেখা যাওয়া ব্যক্তি কি আদৌ এক? এই আবহে শুক্রবার কংগ্রেস নেতা নানা পাটোলে তদন্তের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তিনি বলেন, 'আইনশৃঙ্খলার প্রশ্নে হিন্দু-মুসলিম না দেখে আসল অপরাধীকে ধরতে হবে। সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়া ব্যক্তি এবং (সইফ হামলা মামলায় যাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে) তিনি একই ব্যক্তি নন বলে রিপোর্ট রয়েছে। এর আগে পুলিশ কয়েকজন লুকালাইককে আটক করে ছেড়ে দিয়েছিল। এটা দুঃখজনক যে সিনে শিল্পী থেকে সাধারণ মানুষ, কেউই সুরক্ষিত নন। সইফ আলি খানের মতো অভিনেতা যদি মাঝরাতে মুম্বইয়ের অন্যতম নিরাপদ এলাকা বলে পরিচিত বান্দ্রায় আক্রান্ত হতে পারেন, তাহলে শুধু সেলিব্রিটিরাই নন, সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন উঠবে।' অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর মতো অন্যান্য হাই প্রোফাইল মামলা পরিচালনার জন্য ক্ষমতাসীন বিজেপির সমালোচনাও করেছেন কংগ্রেস নেতা। উল্লেখ্য, বিজেপি সরকার অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল। কিন্তু আজ পর্যন্ত সিবিআই কোনও রিপোর্ট জমা দেয়নি।