গরুপাচারকাণ্ডে অনুব্রতর দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে তিহাড় জেলে পাঠানোর নির্দেশ দিল আদালত। শুক্রবার হেফাজতের মেয়াদ শেষে সায়গলকে দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে পেশ করে ইডি। তদন্তকারী সংস্থার পক্ষে আদালতে আর হেফাজতের আবেদন জানানো হয়নি। ফলে সায়গলকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক।
গরুপাচারকাণ্ডে ইডির জেরার মুখোমুখি হতে দিল্লি গিয়েছেন অনুব্রতর মেয়ে সুকন্যা মণ্ডল। বুধবার জিজ্ঞাসাবাদের প্রথম দিন সায়গলের মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হয় তাঁকে। এর পর শুক্রবারও সুকন্যা ও সায়গলকে ইডি মুখোমুখি বসাতে পারে বলে শোনা যাচ্ছিল। কিন্তু তারই মধ্যে সায়গলকে আদালতে পেশ করে ইডি।
এদিন ইডি আইনজীবী সায়গলের হেফাজত চাননি। ওদিকে সায়গলের আইনজীবী দাবি করেন, পশ্চিমবঙ্গে সিবিআইয়ের মামলায় সায়গলকে সেখানকার আদালতে পেশ করতে হবে। তাই তাকে আসানসোল জেলে ফেরত পাঠানো হোক। তার আপত্তি করেন ইডির আইনজীবীরা। এর পর আদালত জানায়, আপাতত তিহাড় জেলেই থাকবেন সায়গল। সিবিআইয়ের মামলার প্রেক্ষিতে আদালত সায়গলকে হাজির করানোর নির্দেশ দিলে তখন বিবেচনা করবে আদালত।
গরুপাচারের তদন্ত করতে সায়গলকে গত ২১ অক্টোবর সায়গলকে দিল্লি নিয়ে যায় ইডি। নিজের ও অনুব্রতর আয় বহির্ভূত সম্পত্তির খোঁজে তাকে লাগাতার জেরা করেন গোয়েন্দারা। তবে সায়গলকে দিল্লিতে জেরায় কী নতুন তথ্য পাওয়া গিয়েছে তা এখনো আদালতে জানাননি তদন্তকারীরা।