কয়েকদিন আগেই হিংসার সাক্ষী থেকেছিল উত্তরপ্রদেশের সম্ভল। মোঘল জমানার এক মসজিদ ঘিরে সেই হিংসার সূত্রপাত ঘটেছিল। আর এবার সেই সম্ভলেরই অন্য এক মসজিদের ইমামকে ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হল। অভিযোগ সেই ইমাম শুক্রবার নিয়ম ভঙ্গ করে জোরে লাউডস্পিকার চালিছিলেন। রিপোর্ট অনুযায়ী, ঘটনাটি ঘটে সম্ভলের কোট গরভি এলাকার আনার ওয়ালি মসজিদে। (আরও পড়ুন: বাংলাদেশ দখলের ছক কষা হচ্ছে? বিস্ফোরক ওপার বাংলা, ইসকন নিয়ে গুরুতর অভিযোগ)
আরও পড়ুন: লাদাখের ডেপস্যাঙে কি সব প্যাট্রোলিং পয়েন্টেই টহল দিতে পারবে ভারতীয় সেনা?
আরও পড়ুন: OpenAI-এর 'পর্দা ফাঁস' করা ভারতীয় বংশোদ্ভূতের রহস্যমৃত্যু ক্যালিফোর্নিয়ায়
এই ঘটনা প্রসঙ্গে সম্ভলের এসডিএম বন্দনা মিশ্র বলেন, 'মসজিদে জোরে জোরে লাউডস্পিকার ব্যবহার করা হচ্ছিল। এই আবহে মামলা করা হয়েছে। ঘটনায় তাহজিব নামক ২৩ বছর বয়সি ইমামকে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসাবে ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে এবং তাঁকে জামিন দেওয়া হয়েছে।' আগামী ৬ মাসের মধ্যে ফের এই ধরনের ঘটনা যাতে না ঘটে, তার জন্যে সতর্ক করা হয়েছে জামিন পাওয়া ইমামকে। (আরও পড়ুন: কানাডায় খুন ৩ ভারতীয় পড়ুয়া, সতর্কতা জারি দিল্লির, খলিস্তান ইস্যুতে 'নয়া বিতর্ক')
আরও পড়ুন: 'বাংলাদেশের এক ইঞ্চি মাটিতেও...', ভারতকে কি ভয় পাচ্ছে জামাতে ইসলামি?
উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক ঘটনার জেরে উত্তেজনা ছড়িয়েছিল উত্তরপ্রদেশের সম্ভলে। সেখানে এই গোটা পরিস্থিতির নেপথ্যে আছে এক মসজিদ। প্রসঙ্গত, গত ২৪ নভেম্বর উত্তরপ্রদেশের সম্ভল এলাকায় নতুন করে শাহি জামা মসজিদের সমীক্ষার কাজ শুরু করা হয়। আদালতের নির্দেশেই মুঘল জমানার এই মসজিদে সমীক্ষা চালানো হচ্ছিল। এই আবহে রবিবার সকাল ৬টা নাগাদ এলাকায় পৌঁছে যান সমীক্ষক দলের সদস্যরা। সেই দলে ছিলেন জেলাশাসক রাজেন্দ্র পানসিয়া, পুলিশ সুপার কৃষ্ণ বিষ্ণোই, মহকুমাশাসক বন্দনা মিশ্রা, সার্কেল অফিসার অনুজ চৌধুরী এবং তহসিলদার রবি সোনকর। সমীক্ষা চলাকালীন যাতে কোনও অশান্তি না ছড়ায়, তা নিশ্চিত করতে পুলিশের বিরাট বাহিনী এবং ব়্যাপিড অ্যাকশন ফোর্সও মোতায়েন করা হয়েছিল সেখানে। (আরও পড়ুন: ভারতের থেকে 'মোস্ট ফেভারড নেশন'-এর তকমা ছিনিয়ে নিল সুইৎজারল্যান্ড! তবে কেন?)
আরও পড়ুন: আরাকান আর্মির দখলে রাখাইন, 'রোহিঙ্গা' নামক মাথাব্যথা কীভাবে দূর করবেন ইউনুস?
তবে পুলিশ নিয়ে সমীক্ষকরা সেই এলাকায় পৌঁছতেই উত্তেজনাছড়িয়ে পড়ে। এরপর শুরু হয় সংঘর্ষ। আর মুহূর্তে হিংসার আগুন ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশকে লক্ষ করে পাথর ছুড়তে শুরু করে স্থানীয়রা। একের পর এক গাড়িতে আগুন লাগানো হয়। সেই সময় হামলাকারীদের কেউ কেউ গুলিও চালায় বলে অভিযোগ। আজ পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, বিভিন্ন বন্দুকে ব্যবহৃত আলাদা আলাদা বুলেটের শেল উদ্ধার হয়েছে ঘটনাস্থল থেকে। এদিকে সংঘর্ষে মোট ৪ জনের মৃত্যু হয়েছি বলে জানা যায়। (আরও পড়ুন: ভারতে কি 'ফার্স্ট কাম, ফার্স্ট সার্ভ' ভিত্তিতে বণ্টন হবে স্যাটেলাইট স্পেকট্রাম?)
প্রসঙ্গত, স্থানীয় একটি আদালতের নির্দেশ অনুসারে সম্ভলের ওই মসজিদে সমীক্ষার কাজ শুরু করা হয়েছে। গত ১৯ নভেম্বর কেলা দেবী মন্দির কমিটির তরফ থেকে চনদৌসির একটি আদালতে মামলা রুজু করা হয়। মামলাকারীদের দাবি, সম্ভলের শাহি জামা মসদিজ আসলে শ্রী হরিনাথ মন্দির। যা সম্রাট বাবরের শাসনকালে, ১৫২৯ সালে মসজিদে রূপান্তরিত করা হয়েছিল। এই আবেদনের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট বিচারক আদিত্য সিং ওই দিনই মসজিদের ভিডিয়োগ্রাফি সমীক্ষা করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেই মতো সমীক্ষা হয় সেই মসজিদে। তবে আপাতত সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে সেই সব সমীক্ষা প্রক্রিয়া স্থগিত রয়েছে।