সমলিঙ্গের বিবাহ সংক্রান্ত শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টের তরফে বলা হয়েছে স্পেশাল ম্য়ারেজ অ্য়াক্টে যে পাবলিক নোটিশ ইস্যু করার কথা বলা হয় সেটা পিতৃতান্ত্রিক। ভারতে সমলিঙ্গের বিয়েকে আইনগত স্বীকৃতি দেওয়ার দাবিকে ঘিরে শুনানি চলছিল সুপ্রিম কোর্টে। সেখানে এদিন বিশেষ প্রসঙ্গ উত্থাপন করা হয়। কয়েকজন আবেদনকারী জানিয়ে দেন, সমলিঙ্গের বিয়েকে বৈধতা দেওয়ার জন্য স্পেশাল ম্যারেজ অ্য়াক্টের কিছু পরিমার্জন করা দরকার।
এদিকে এই মামলার শুনানির জন্য প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের বিচারপতিদের সাংবিধানিক বেঞ্চ রয়েছে। সেখানে সেই অ্য়াক্টের কথা উল্লেখ করে বলা হয় সেখানে বিয়ের আগে ম্যারেজ অফিসারদের ৩০ দিনের নোটিশ দিতে হয়। ওই বিয়ের ক্ষেত্রে কারোর কোনও আপত্তি রয়েছে কি না সেটাও বলা হয়।
বিচারপতি এস রবীন্দ্র ভাট জানিয়েছেন, এটা একটা পিতৃতান্ত্রিক ব্যবস্থার উপর ভিত্তি করে বলা হচ্ছে। এই আইন যখন তৈরি হয়েছিল তখন মহিলাদের কোনও এজেন্সি ছিল না। প্রসঙ্গত স্পেশাল ম্যারেজ অ্যাক্ট তৈরি হয়েছিল ১৯৫৪ সালে।
প্রধান বিচারপতি জানিয়েছেন, আইনের এই বিশেষ দিকটি যদি অবৈধ বিয়েকে আটকানোর ক্ষেত্রে হত তবে একটা কথা হত। যেমন বাল্য বিবাহ রোধের ক্ষেত্রে করা হয়ে থাকে। প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় জানিয়েছেন, যখন সমকামী আচরণকে আমরা আর অপরাধ বলছি না আমাদের এখন প্রয়োজন স্থায়ী, বিবাহের মতো সম্পর্ক দুজনের মধ্য়ে যারা কখনই এটাকে সুযোগের সদব্যবহার বলে মনে করবেন না, তার বাইরেও বৃহত্তর কিছু তারা ভাববেন।
তবে কেন্দ্রীয় সরকার এর আগেই এই সমলিঙ্গের বিয়েকে বৈধতা দেওয়ার আবেদনের বিরোধিতা করেছেন। কেন্দ্রের তরফে দাবি করা হয়েছে, ভারতীয় পরিবারের ধারনার মধ্যে এটা যায় না। তাছাড়া এসব শহুরে বড়লোকদের ধারনা বলেও কেন্দ্রীয় সরকার দাবি করেছে। এদিকে মঙ্গলবারের শুনানিতে উল্লেখ করা হয়েছিল এই সমলিঙ্গের বিয়েকে বৈধতা দেওয়া হবে কি না সেই ব্যাপারটা পার্লামেন্টের উপর ছেড়ে দেওয়া হোক। সেই সঙ্গে হলফনামা দিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে দাবি করা হয়েছে সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে এই মামলায় পার্টি করা হোক।