বাংলা নিউজ > ঘরে বাইরে > Sameer Wankhede Chat Leak: NCB-র ডেপুটি ডিজি-র সঙ্গে আরিয়ানকে নিয়ে ওয়াংখেড়ের চ্যাট ফাঁস, ছিল BDSM, সেক্স পিলের উল্লেখ

Sameer Wankhede Chat Leak: NCB-র ডেপুটি ডিজি-র সঙ্গে আরিয়ানকে নিয়ে ওয়াংখেড়ের চ্যাট ফাঁস, ছিল BDSM, সেক্স পিলের উল্লেখ

অপসারিত এনসিবি কর্তা সমীর ওয়াংখেড়ে (ফাইল ছবি : এএনআই) (Rahul Singh)

অপসারিত এনসিবি কর্তা সমীর ওয়াংখেড়ের সঙ্গে এনসিবির ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল জ্ঞানেন্দ্র সিংয়ের কথোপকথন ফাঁস হয়েছে। সেখানে দেখা গিয়েছে, আরিয়ান খানকে নিয়ে নিজের বসকে কীসব বলেছিলেন এনসিবির প্রাক্তন জোনাল হেড। 

এনসিবির প্রাক্তন আধিকারিক সমীর ওয়াংখেড়ের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই। এই আবহে গতকাল তাঁকে তলব করা হয়েছিল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার দফতরে। এর আগে অবশ্য সেই তলব এড়িয়ে যেতে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন সমীর ওয়াংখেড়ে। গ্রেফতারি থেকে তাঁকে 'রক্ষাকবচ' প্রদান করে দিল্লি হাই কোর্ট। তবে সিবিআই সমীরকে জেরা করতে পারবে বলে জানায় আদালত। এদিকে এনসিবির ডেপুটি ডিজি জ্ঞানেশ্বর সিংয়ের বিরুদ্ধেও দুর্নীতির মামলা করার আবেদন করেছিলেন সমীর ওয়াংখেড়ে। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে বম্বে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হতে বলা হয়েছিল সমীরকে। এরই মধ্যে এবার ফাঁস হল আরিয়ানকে নিয়ে সমীর এবং জ্ঞানেশ্বরের মেসেজ। (Madhyamik Result 2023 Live Updates: মাধ্যমিকের ফলাফলের লাইভ আপডেট দেখুন এখানে)

ভাইরাল হওয়া মেসেজের প্রতিলিপি থেকে দেখা গিয়েছে, আদালতে আরিয়ান মামলার শুনানি নিয়ে কথা শুরু হয় সমীর ওয়াংখেড়ে এবং জ্ঞানেশ্বর সিংয়ের। জ্ঞানেশ্বর সেখানে বলেন, 'সমীর ওয়াংখেড়ের ওপর আমাদের পূর্ণ আস্থা রয়েছে।' এরপর এক দীর্ঘ বার্তায় এমডিএমএ বা একস্টাসি পিলকে 'সেক্স পিল' আখ্যা দিয়ে জ্ঞানেশ্বরকে তা নিয়ে বোঝান সমীর ওয়াংখেড়ে। সেই মেসেজে লেখা, 'এই গ্রুপের একটি মেয়ের কাছ থেকে এমডিএমএ ট্যাবলেট পাওয়া যায়। তার নাম নূপুর সাতিজা। আপনি জানেন এমডিএমএ বা একস্টাসি কী? যৌন উত্তেজনা তৈরি হয় এই মাদক থেকে। এই মাদকের কারণে শরীরের তাপমাত্রা, রক্তচাপ এবং পালস এতটাই বেড়ে যায় যে যৌন উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এর ফলে বেশ কয়েক ঘণ্টা বিভিন্ন পার্টনারের সঙ্গে সেক্স করতে পারে এর সেবনকারী।'

সমীর আরও লেখেন, 'কেউ একস্টাসি নিয়ে থাকলে সে একসঙ্গে দু'জন পার্টনারের সঙ্গে সেক্স করে। তাহলে কোনও মেয়ে যদি ৮টি এমডিএমএ ট্যাবলেট নেয়, তার মানে সে গোটা গ্রুপের সঙ্গেই সেক্স করতে চেয়েছিল। এই প্রমোদতরীতে মোট ১৩০০ জন ছিলেন এবং আমরা জানি না যে ঠিক ক'জন মহিলার কাছে এই ট্যাবলেট ছিল। এবার নূপুরের জায়গায় আমার বা আপনার মেয়ে থাকলে আমরা কী করতাম? আপনি জানেন মেয়েদের ওপর এমডিএমএ-র পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কী? যৌন রোগ, একাধিকবার গর্ভপাত। এই ট্যাবলেট খেয়ে বিডিএসএম করে। এই মাদক সেবনে তিন থেকে চার বছরে সেই মেয়ে এত অসুস্থ হয়ে পড়বে যে বাকি জীবন আর স্বাভাবিক ভাবে বাঁচতে পারবে না। সন্তানের জন্ম দিতে পারবে না। ছেলেরা এই ট্যাবলেট খেয়েও পার পেয়ে যেতে পারে। তবে মেয়েদের দুর্দশার ঠিক নেই।'

এরপর আরিয়ানকে নিয়ে সমীর বলেন, 'আরিয়ানের কাছে ৯টি টিকিট ছিল। যার দাম ২৭ লাখ টাকা। আরিয়ান কী করছিল? নিজের নাম ব্যবহার করে রেভ পার্টির টিকিট বিক্রি করছিল। যাতে ড্রাগ মাফিয়ারা আরও খদ্দের পায় এবং আরও বেশি সিক্স পিল বিক্রি করা যায়, তাই এই কাজ করছিল সে। যাতে মেয়েরা এই গ্যাংব্যাঙে অংশ নিয়ে পুরুষদের সন্তুষ্ট করতে পারে, তার জন্যই এক কিছু। বাবা হিসেবে আমি এই সংস্কৃতি দেখে আতঙ্কিত। আমি আমার মেয়েকে কোথায় বড় করব? তাকে কি আমি চাঁদ বা মঙ্গলে পাঠিয়ে দেব? আমাদের দেশের লাখ লাখ মাদকাশক্ত রয়েছে। সিনেমার তারকারা এদের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর। এই গোটা চক্রের সঙ্গে জড়িত তারকারা।'

বন্ধ করুন