আর কয়েক মাসের মধ্যেই পঞ্জাব, উত্তরপ্রদেশসহ পাঁচ রাজ্যে নির্বাচন। এই আবহে কৃষি আইন প্রত্যাহার করেছে কেন্দ্র। তবে তাতেও কৃষক আন্দোলনে ভাঁটা পড়েনি। এরপর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ খোদ কৃষক নেতাদের ফোন করে আলোচনার জন্য আহ্বান জানান। তখনই বরফ গলার ইঙ্গিত মিলেছিল। আর এখন জানা যাচ্ছে, কৃষকদের একাধিক ইস্যুতে সুর নরম করতে চলেছে কেন্দ্র। আর এর ফলে আন্দোলন প্রত্যাহার করতে চলেছে সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা।
জানা গিয়েছে, ন্যূনতম সহায়ক মূল্য সহ একাধিক দাবির ক্ষেত্রে লিখিত প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। এদিকে সরকারের সঙ্গে আলোচনা করতে সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা পাঁচ সদস্যের প্যানেল গঠন করেছে। সেখানেই বিভিন্ন বিষয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে আলোচনা করছেন কৃষকরা। আর তাতেই ন্যূনতম সহায়ক মূল্য থেকে শুরু করে খড় পোড়ানো ইস্যুতে কেন্দ্র কৃষকদের লিখিত প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। কেন্দ্রের এই লিখিত প্রতিশ্রুতি যদি কৃষকরা গ্রহণ করেন তবে স্বভাবতই তারা আন্দোলন থেকে সরে আসবেন।
মঙ্গলবার সরকার পক্ষ এবং কৃষকদের মধ্যে দীর্ঘ আলোচনা হয় দিল্লি লাগোয়া সিঙ্ঘু সীমানায়। বিগত প্রায় একবছরেরও বেশি সময় যাবত এখানেই আন্দোলন করছেন কৃষকরা। জানা গিয়েছে, আজকেও দুপুর দুটো থেকে ফের বৈঠক শুরু হবে দুই পক্ষের। জানা গিয়েছে এমএসপি নিয়ে কৃষকদের দাবি খতিযে দেখতে একটি কমিটি গঠন করার কথা বলেছে কেন্দ্র। সেখানে কিষাণ মোর্চার সদস্যদেরও অনতর্ভুক্ত করা হবে বলে জানা গিয়েছে। পাশাপাশি আন্দোলনকারী কৃষকদের বিরুদ্ধে থাকা পুলিশ কেস প্রত্যাহার করার বিষয়েও আশ্বাস দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। উত্তরপ্রদেশে ইতিমধ্যেই যোগী প্রশাসন কৃষকদের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাবার করা শুরু করে দিয়েছে। এদিকে ক্ষতিপূরণের বিষয়ে কেন্দ্র সরাসরি কোনও পদক্ষেপ না নিলেও বিজেপি শাসিত উত্তরপ্রদেশ এবং হরিয়ানা সরকার এই ক্ষেত্রে পদক্ষেপ নেবে বলে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। এই পরিস্থিতিতে দীর্ঘ একবছরের আন্দোলনের পর সরকার ও কৃষকদের মধ্যকার দূরত্ব কমতে পারে আশা করা হচ্ছে।