বাংলা নিউজ > ঘরে বাইরে > স্বপ্নপূরণের আরও কাছে, প্রথম মুসলিম মহিলা ফাইটার পাইলট হওয়ার লক্ষ্যে সানিয়া

স্বপ্নপূরণের আরও কাছে, প্রথম মুসলিম মহিলা ফাইটার পাইলট হওয়ার লক্ষ্যে সানিয়া

সানিয়া মির্জা।

সানিয়া মির্জা উত্তরপ্রদেশের মির্জাপুরের দেহাত কোতোয়ালি থানার অন্তর্গত যশোভার গ্রামের বাসিন্দা। তাঁর বাবা পেশায় একজন টিভি মেকানিক। হিন্দি মাধ্যম স্কুলে পড়াশোনা করেছেন সানিয়া। তিনি বলেন, ‘হিন্দি মাধ্যমের শিক্ষার্থীরাও দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হলে সাফল্য অর্জন করতে পারে।’

দেশের প্রথম মুসলিম মহিলা পাইলট হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা সানিয়া মির্জা। ছোটো থেকেই তাঁর স্বপ্ন ফাইটার পাইলট হওয়া। সেই স্বপ্নপূরণের আরও কাছে এসে গিয়েছেন সানিয়া। তবে এখনও অনেকটা পথ চলা বাকি। তাতে সাফল্য মিললে তবেই দেশের মুসলিম মহিলা ফাইটার পাইলট হতে পারবেন সানিয়া।

সম্প্রতি একাধিক রিপোর্টে দাবি করা হয় যে দেশের প্রথম মুসলিম মহিলা ফাইটার পাইলট হয়েছেন সানিয়া। কিন্তু ভারতীয় বায়ুসেনার তরফে জানানো হয়েছে, ন্যাশনাল ডিফেন্স অ্যাকাডেমিতে (এনডিএ) সুযোগ পেয়েছিলেন। বেছে নিয়েছেন ফাইটার পাইলট স্ট্রিম। এবার একাধিক কোর্স সম্পূর্ণ হলে তবেই ফাইটার পাইলট হতে পারবেন।  

সানিয়া মির্জা উত্তরপ্রদেশের মির্জাপুরের দেহাত কোতোয়ালি থানার অন্তর্গত যশোভার গ্রামের বাসিন্দা। তাঁর বাবা পেশায় একজন টিভি মেকানিক। হিন্দি মাধ্যম স্কুলে পড়াশোনা করেছেন সানিয়া। তিনি বলেন, ‘হিন্দি মাধ্যমের শিক্ষার্থীরাও দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হলে সাফল্য অর্জন করতে পারে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমি ছোটো থেকেই ফাইটার পাইলট হতে চেয়েছিলাম। এর আগে এনডিএ পরীক্ষা দিয়েছিলাম। কিন্তু হাতে সময় কম থাকায় পাশ করতে পারেনি। দ্বিতীয়বার আমি পাশ করি এবং ইন্টারভিউয়েও সফল হই।’ 

আগামী ২৭ ডিসেম্বর তিনি প্রশিক্ষণের জন্য যোগ দেবেন। অভিভাবকদের পাশাপাশি গ্রামবাসীরাও তাকে নিয়ে গর্বিত। সানিয়ার বাবা শহিদ আলি বলেন, ‘সানিয়া দেশের প্রথম ফাইটার পাইলট অবনী চতুর্বেদীকে তার রোল মডেল মনে করে। প্রথম থেকেই ও ফাইটার পাইলট হতে চেয়েছিল।’

প্রসঙ্গত, পড়াশোনায় বরাবরই ভালো সানিয়া মির্জা। গ্রামের পণ্ডিত চিন্তামণি দুবে ইন্টার স্কুলে প্রাথমিক থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন। এরপর তিনি শহরের গুরু নানক গার্লস ইন্টার কলেজে ভর্তি হন। দ্বাদশের ইউপি বোর্ডের পরীক্ষায় জেলায় শীর্ষস্থান অর্জন করেছিলেন। এনডিএ পরীক্ষার জন্য সেঞ্চুরিয়ান ডিফেন্স একাডেমিতে তিনি কোচিং নেন।

সানিয়ার মা তাবাসসুম মির্জা বলেন, ‘আমাদের মেয়ে আমাদের এবং পুরো গ্রামকে গর্বিত করেছে। ও গ্রামের প্রতিটি মেয়েকে অনুপ্রাণিত করেছে।’

বন্ধ করুন