সদ্য নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, শিবসেনার দলীয় নাম ও প্রতীক পেতে চলেছে একনাথ শিন্ডে পক্ষ। এরপরই ক্ষোভে ফেটে পড়ে উদ্ধব ঠাকরের শিবির। সেই শিবিরের অন্যতম নাম সঞ্জয় রাউত। এদিন বিস্ফোরক দাবিতে , রাউত কমিশনের এই ঘোষণার নেপথ্যে ২০০০ কোটি টাকার ডিল-এর অভিযোগ তোলেন।
উল্লেখ্য, শিবসেনার প্রতিষ্ঠাতা বাল ঠাকরের সন্তান উদ্ধব ঠাকরের ক্যাম্পের কাছে এই মুহূর্তে নেই দলের নাম ও প্রতীক। কার্যত, বাবা বাল ঠাকরের প্রতিষ্ঠিত পার্টি থেকে সরে যেতে হচ্ছে ছেলে উদ্ধবকে। এই পরিস্থিতিতে উদ্ধব শিবিরের তরফে সঞ্জয় রাউত বলেন,' এই মামলায় এখনও পর্যন্ত ২০০০ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। এটা প্রাথমিক ধারণা। এটা আমার এফআইআর। এই সিদ্ধান্তকে কেনা হয়েছে।' রাজ্যসভার শিবসেনা সাংসদ সঞ্জয় রাউত এই অভিযোগ তুলে কার্যত বড়সড় বোমা ফাটিয়েছেন মারাঠা রাজনীতিতে। তাঁর অভিযোগ, ভারতের নির্বাচন কমিশন একনাথ শিন্ডেদের শিবসেনার দলীয় প্রতীক ও নাম রাখার অধিকার যে দিয়েছে, সেই ঘটনা কোনও ন্যায় বিচার নয়, বরং সেটা ‘ব্যবসা’। সঞ্জয় রাউত বলেন, ‘সরকার, নেতা, নীতিহীন মানুষ, ৫০ কোটি টাকা দিয়ে বিধায়ক কিনেছে, ১০০ কোটি টাকা দিয়ে একজন সাংসদ কিনেছে, ১ কোটি টাকা দিয়ে আমাদের কাউন্সিলর ও শাখা প্রমুখকে কিনেছে। তাহলে বুঝতেই পারছেন, দলের প্রতীক আর দলের নাম কিনতে তাঁরা কত টাকা খরচ করেছেন।’ (হীরাবেনের প্রয়াণে শোকার্ত ক্লাস টুয়ের খুদের চিঠি মোদীকে, ‘উত্তরে’ এল কোন পত্র?)
এরপরই একধাপ এগিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ তুলে সঞ্জয় রাউত দাবি করেন,'এটা ২০০০ কোটি টাকা আমার মনে হচ্ছে।' এদিকে, সঞ্জয় রাউতের দাবি খারিজ করে বিধায়ক সদা সরভারকর বলেন, ‘উনি কি ক্যাশিয়ার ছিলেন?’ উল্লেখ্য, এর আগে নির্বাচন কমিশনের তরফে ৭৮ পাতার একটি নথিতে তুলে ধরা হয়েছে কেন শিবসেনা দলের নাম ও প্রতীক দেওয়া হয়েছে শিন্ডে ক্যাম্পকে, তার কারণ। এছাড়াও উদ্ধব শিবিরকে মশাল প্রতীকে লড়াইয়ের জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, সামনেই মুম্বইতে পুর নির্বাচন। তার আগে মারাঠা রাজনীতিতে বড়সড় তোলপাড় এনে দিয়েছে কমিশনের ঘোষণা। সেই জায়গা থেকে সঞ্জয় রাউতের বার্তায় নতুন মোড় এসেছে এই রাজনৈতিক সংঘাতে।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup