রবিবার সকাল সাতটা থেকে সঞ্জয় রাউতের বাসভবনে তল্লাশি শুরু করেছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। এরপর দীর্ঘ নয় ঘণ্টা তল্লাশি চলার পর আটক করা হয় শিবসেনা সাংসদকে। পরে রাতের দিকে প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং আইনের অধীনে সঞ্জয়কে গ্রেফতার করা হয়। সোমবার বিশেষ পিএমএলএ আদালতে তোলা হবে সঞ্জয়কে।
এর আগে 'চাওল' সংস্কারে আর্থিক অনিয়ম সংক্রান্ত একটি মামলায় তলব করা হয়েছিল সঞ্জয় রাউতকে। তবে তিনি হাজিরা দেননি। এই আবহে রবিবার সকালে মুম্বইয়ে শিবসেনা সাংসদের বাসভবনে হাজির হন ইডির আধিকারিকরা। এই মামলায় তাঁর স্ত্রী এবং ‘সহযোগীদের’ নামও জড়িয়েছে। এই পরিস্থিতিতে গতকাল বিকেল চারটে নাগাদ সঞ্জয়কে আটক করে ইডি। তারপর তাঁকে ইডির কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য বের করা হয়। সেইসময় তাঁকে অনুগামীদের উদ্দেশে হাত নাড়তে দেখা যায়। পরে রাতে সঞ্জয়কে গ্রেফতার করা হয়।
এর আগে এই জমি দুর্নীতি মামলায় তিন জনের মোট ১১.১৫ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল। বাজেয়াপ্ত হওয়া সম্পত্তির মধ্যে সঞ্জয় রাউতের স্ত্রীর সম্পত্তি ছিল। এই গোটা দুর্নীতির পরিমাণ ১০৪০ কোটি টাকা। আর্থিক তছরুপের যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সঞ্জয়। তাঁর পালটা অভিযোগ, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে তাঁকে নিশানা করা হচ্ছে। গতকাল আটক হয়ে ইডি দফতরে যাওয়ার সময় তিনি বলেন, 'প্রয়াত বালাসাহের ঠাকরের নামে দিব্যি দিয়ে বলছি যে আমি কোনওরকম দুর্নীতিতে জড়িত নই। আমি মরে যাব। কিন্তু শিবসেনা ছাড়ব না।'