শিবসেনা মুখপাত্র সঞ্জয় রাউত বৃহস্পতিবার সকালে দাবি করলেন যে শিন্ডে গোষ্ঠীর ২০ বিধায়কের সঙ্গে যোগাযোগ করছে দল। বিদ্রোহীদের ভাঙিয়ে শিন্ডেকে ধাক্কা দিতেই এই ছক কষছেন দলের ‘সংকটমোচক’ নেতা। এদিকে সঞ্জয় রাউতের এই দাবির মাঝেও ক্রমেই আরও শক্তিশালী হয়ে উঠছে শিন্ডে গোষ্ঠী। দলের দুই তৃতীয়াংশ সমর্থনের খুবই কাছে তারা। সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, শিন্ডের সঙ্গে বর্তমানে মোট ৩৪ জন শিবসেনা বিধায়ক রয়েছে গুয়াহাটির হোটেলে। তাছাড়া ৮ জন নির্দল বিধায়কও রয়েছেন তাঁর সঙ্গে।
সূত্রের খবর আজ রাজ্যপালের কাছে নিজের সংখ্যার জোর দেখাতে পারেন একনাথ শিন্ডে। জানা গিয়েছে, দলের দুই তৃতীয়াংশ সমর্থন দেখাতে রাজ্যপালের সময় চেয়েছেন একনাথ। এরপর রাজ্যপাল উদ্ধব ঠাকরেকে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে বলতে পারেন। উদ্ধব তা করতে ব্যর্থ হলে বিজেপির সঙ্গে মিলে সরকার গঠন করতে পারেন একনাথ শিন্ডে। বিদ্রোহী শিবসেনা বিধায়কদের নেতৃত্বে থাকা একনাথ শিন্ডে বলেছেন যে তিনি শিবসেনার ৫৫ জন বিধায়কের মধ্যে ৪২ জনের সমর্থন পাবেন। তাঁর কথায়, ’১৩ জন ছাড়া বাকি সবাই চলে আসবে।’
গতকাল চরম নাটকের মাঝেই একনাথ শিন্ডে নিজেই শিবসেনার উপর অধিকার দাবি করেছেন। উদ্ধব ঠাকরে গোষ্ঠীর জারি হুইপকে ‘অবৈধ’ আখ্যা দিয়ে নিজেই মুখ্য সচেতক নিয়োগ করেন একনাথ শিন্ডে। শিন্ডের দাবি, কংগ্রেস এবং এনসিপির সঙ্গে শিবসেনার অপ্রকৃতস্থ জোট ভেঙে বিজেপির সঙ্গে জোট গড়তে হবে। হিন্দুত্বের ইস্যুতে সুর চড়িয়েছেন শিন্ডে।
বিজেপির কাছে বর্তমানে ১০৬ জন বিধায়ক আছে। ২৮৭ আসন বিশিষ্ট মহারাষ্ট্র বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য বিজেপির প্রয়োজন আরও ৩৮ জন বিধায়ক। এই আবহে একনাথ শিন্ডেকে উপমুখ্যমন্ত্রীর পদ দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে বিজেপি। আড়াই বছর আগে এই একই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল অজিত পাওয়ারকেও। সূত্রের খবর, নয়া সরকার গঠন হলে শিন্ডে গোষ্ঠীকে ৯টি মন্ত্রক দিতে পারে বিজেপি।