কৃষক ঐক্যে ফাটল? পঞ্জাব নির্বাচনের প্রাক্কালে এমনটাই মনে হচ্ছে। উল্লেখ্য, সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার ছাতার তলায় থাকা ২২টি কৃষক সংগঠন সংযুক্ত সমাজ মোর্চার নামে এবার নির্বাচনে লড়তে চলেছে পঞ্জাবে। পঞ্জাবের ১১৭টি আসনে তাঁরা প্রার্থী দেবেন বলেও ঘোষণা করেছেন ইতিমধ্যেই। এর আগে সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার তরফে স্পষ্ট ভাবে জানানো হয়েছিল যে পঞ্জাবের নির্বাচনে তাঁরা অংশ নেবেন না। তবে এখন সেই মোর্চার অধীনে থাকা বেশ কয়েকটি সংগঠন নিজেদের মধ্যে হাত মিলিয়ে ভোট ময়দানে নামার ডাক দিয়েছে।
কৃষি আইন প্রত্যাহার ও পরবর্তীতে কৃষকদের অন্য দাবি নিয়ে সরকারের লিখিত আশ্বাসের প্রেক্ষিতে আন্দোলন ‘স্থগিত’ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল কিষাণ মোর্চার তরফে। দাবি আদায় না হলে পরবর্তীতে ফের রাস্তায় নামার হুঁশিয়ারিও দিয়ে রেখেছে মোর্চা। নিয়মিত অন্তরালে বৈঠকে বসার কথাও বলেছেন কিষাণ মোর্চার শীর্ষ নেতারা। তবে তাঁদের বক্তব্য ছিল, অরাজনৈতিক পথে হেঁটেই নিজেদের দাবি আদায়ের জন্য আন্দোলন চালাবে কিষআণ মোর্চা। পাশাপাশি জানানো হয়েছিল, কোনও ব্যক্তি বা সংগঠন নির্বাচনে লড়াইয়ের উদ্দেশে সংযুক্ত কিষান মোর্চার নাম ব্যবহার করতে পারবে না।
তবে কিষাণ মোর্চার ছাতার অধীনে থাকা ৩২টি সংগঠনের মধ্যে যে মতভেদ রয়েছে, তার ইঙ্গিত মিলেছিল আগেই। এরপরই গুঞ্জন শুরু হয়েছিল, ভোটে লড়তে ইচ্ছুক কৃষকরা পঞ্জাবে আম আদমি পার্টির সঙ্গে জোট গড়তে পারে। উল্লেখ্য, দিল্লি সীমানায় কৃষক আন্দোলন চলাকালীন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল ধারাবাহিক ভাবে কৃষকদের হয়ে সওয়াল করে আসছিলেন। তিনি স্বয়ং আন্দোলন স্থলে গিয়ে কৃষকদের সঙ্গে দেখাও করেছিলেন।
এই আবহে ‘সমাজ মোর্চা’র নেতা বলবীর সিং রাজেওয়ালের বক্তব্য, ‘ব্যবস্থার পরিবর্তন দরকার। পঞ্জাব বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য একটি নতুন সংযুক্ত সমাজ মোর্চা গঠিত হয়েছে। বাইশটি ইউনিয়ন এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমাদের সিস্টেম পরিবর্তন করতে হবে এবং এই মোর্চাকে সমর্থন করার জন্য জনগণের কাছে আবেদন করতে চাই।’