বিহারের সরন জেলায় বিষমদকাণ্ডে মৃতের সংখ্যা ছুঁয়েছে ১৫তে। আরও ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে বিষমদকাণ্ডে। এদিকে তদন্তে নেমে পুলিশ বৃহস্পতিবার রাতে একটি অবৈধ মদ প্রস্তুতকারক ইউনিটের সন্ধান পায়। পুলিশ সেখান থেকে মালিক ময়না মাহাতো সহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে। ওই ইউনিট থেকে প্রচুর দেশি মদ, অ্যালথ্রোশিন ট্যাবলেট, কেমিক্যাল,ড্রাম বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এদিকে এই ঘটনায় সারনের এসপি সন্তোষ কুমার এক পুলিশ কর্মী ও এক চৌকিদারকে সাসপেন্ড করেন। পরে ওই চৌকিদারকেও গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জেনেছে বেআইনীভাবে মদ তৈরিতে ওই চৌকিদারের মদত ছিল।
এদিকে বিষমদ কান্ডের তদন্তে নেমে গ্রামে গিয়েছিলেন জেলাশাসক ও জেলার পুলিশ সুপার। সেই সময় মৃতের পরিবারের সঙ্গে তাঁরা কথা বলেন। উর্মিলা দেবী নামে এক মহিলা যাঁর স্বামী বিষমদ খেয়ে মারা গিয়েছেন তিনি একটি পাত্র দেখান। তিনি জানান জগদীশপুর বাজার থেকে মদ কিনে এনেছিল তাঁর স্বামী। অপর মৃতের মা মীরা দেবী বলেন, কঠোর পরিশ্রম করে ছেলে খুব ক্লান্ত ছিল। সেকারণেই বাজার থেকে মদ কিনে এনে খেয়েছিল।
তবে মৃত্যুর কারণ নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা পুরোপুরি কাটেনি। জেলাশাসকের দাবি, এখনই মৃত্যুর সঠিক কারণ বলা সম্ভব নয়। এদিকে এসডিপিও আগেই দাবি করেছেন, ঠান্ডা থেকেই মনে হয় ওরা মারা গিয়েছেন। এনিয়ে গুজব ছড়ানো হচ্ছে।