মোদীর মন্ত্রিসভায় যুক্ত হতে পারেন অসমের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল, বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী সুশীল কুমার মোদী, জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। এমনই জল্পনা তৈরি হয়েছে। উল্লেখ্য, গতকাল দীর্ঘক্ষণ বৈঠক করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা। সেই বৈঠকের পরই জল্পনা তৈরি হয় যে বাদল অধিবেশনের পর মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণ করতে পারেন মোদী-শাহরা।
উল্লেখ্য, বর্তমানে কেন্দ্রীয় সরকারে মোট মন্ত্রীর সংখ্যা ৬০। সংবিধান অনুযায়ী তা ৭৯ হতে পারে। তবে অনেক মন্ত্রীর কাছেই একাধিক মন্ত্রকের দায়িত্ব রয়েছে। এই আবহে আরও বেশিজনকে ক্যাবিনেটে এনে দায়িত্ব বণ্টন করা হতে পারে। এখন মোদীর ক্যাবিনেটে ২১ জন মন্ত্রী রয়েছেন। তাছাড়া ৯ জন স্বতন্ত্র দায়িত্ব প্রাপ্ত রাজ্যমন্ত্রী এবং ২৯ জন রাজ্যমন্ত্রী আছেন। সকল মন্ত্রী এবং তাদের মন্ত্রকের রিভিউ চলছে বর্তমানে। সেই রিভিউ শীঘ্রই শেষ হবে বলে জানা যাচ্ছে। আর তারপরই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।
এদিকে মন্ত্রিসভা সম্প্রসারিত হলে জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া, সর্বানন্দ সোনোয়ালের মতো নেতাদের স্থান দেওয়া হবে প্রবল গুঞ্জন তৈরি হয়েছে। উল্লেখ্য, সম্প্রতি অসমের মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন সর্বানন্দ। তাঁর স্থানে মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। অসমে দলকে আরও শক্তিশালী করতে এবং অন্তর্দ্বন্দ্ব দূর করতেই সরে দাঁড়ান সর্বানন্দ। তাই তাঁকে এই পুরস্কার দেওয়া হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
এদিকে প্রায় একবছরের বেশি সময় হয়ে গেল বিজেপিতে এসেছেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে তাঁর যোগদানের ফলেই মধ্যপ্রদেশে ফের বিজেপি সরকার গঠন করতে সক্ষম হয়। এদিকে মন্ত্রিসভায় যুক্ত হতে পারেন বিহারের প্রাক্তন উপ-মুখ্যমন্ত্রী সুশীল কুমার মোদী এবং বৈজন্ত পাণ্ডাও। এছাড়াও এবার মোদীর মন্ত্রিসভায় দেখা যেতে পারে জেডিইউ-র মুখও। উল্লেখ্য, বর্তমানে একমাত্র রামদাস আঠাওয়ালে ছাড়া ও কোনও মন্ত্রী এনডিএ শরিক দলের নন।