করোনা পরিস্থিতিতে দ্রুত হারে বদলে গিয়েছে কাজের পন্থা। তাই তার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বদল আসছে অফিস মডেলেও। এমনটাই জানালেন টাটা (Tata) গোষ্ঠীর চেয়ারম্যান নটরাজন চন্দ্রশেখরণ (Natarajan Chandrasekaran)।
আগের তুলনায় প্রায় এক যুগ এগিয়ে গিয়েছে ডিজিটাল প্রযুক্তি। নতুন হাইব্রিড মডেলে অফিসের সীমানা পেরিয়ে গিয়েছে কর্মক্ষেত্রের পরিধি। আরও বেশি মহিলাদের নিয়োগ করাও সম্ভব হচ্ছে। এমনটাই জানান তিনি। মঙ্গলবার কাতার ইকোনমিক ফোরামে আলোচনায় যোগ দিয়ে এমনটাই জানান তিনি।
ভারতের বৃহত্তম বেসরকারি নিয়োগকারী টাটা গোষ্ঠীর চেয়ারম্যান বলেন, 'অফিস এখনও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কর্মীরা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ফিরবেন। কিন্তু করোনার আগের সময়কার কাজের ধরনে পৃথিবী আর ফিরবে না।' নটরাজন বলেন, 'যদি আমাদের নতুন হাইব্রিড মডেলটি কাজ করে, সেটি শুধু বাড়ি ও অফিসেই সীমাবদ্ধ থাকবে, এমনটা কিন্তু নয়। এগুলি বাদেও একটি তৃতীয় স্থানের (Third Space) কথা ভাবা যেতে পারে।'
কী এই থার্ড স্পেস? (Third Space)
নটরাজন জানান, এটিকে স্যাটেলাইট অফিস (Satelite Office) বলা যেতে পারে।
হাইব্রিড মডেলে মহিলাদের সুবিধা
নতুন হাইব্রিড মডেলের ফলে আরও বেশি মহিলা কর্মী কাজে যোগ দিতে পারবেন বলে আশাবাদী নটরাজন। তিনি বলেন, 'চাকরির যোগ্যতা আছে এমন মহিলাদের মধ্যে মাত্র ২৩% কাজ করেন। এর কারণ হল যাতায়াত ব্যবস্থার সমস্যা, শিশুদের কোথাও রাখার মতো পরিকাঠামোর অভাব।'
করোনা পরিস্থিতিতে সবচেয়ে বেশি যে সংস্থাগুলি কর্মীদের ওয়ার্ক ফ্রম হোমের ব্যবস্থা করেছে, তার মধ্যে টাটা গোষ্ঠীর বিভিন্ন সংস্থা অন্যতম। তবে শুধু তাই নয়, এই ওয়ার্ক ফ্রম হোমকে স্বাভাবিক সময়ের কর্মসংস্কৃতি হিসাবে জনপ্রিয় করে তুলতে চাইছে সংস্থা। টাটা কনসালটেন্সি সার্ভিসেস ২০২৫ সাল নাগাদ মোট কর্মীদের মাত্র এক-চতূর্থাংশ নিয়মিত অফিস আনার পরিকল্পনা করছে। অর্থাত্ জরুরি প্রয়োজনে কর্মীরা অফিসে এলেও বেশিরভাগ সময়ে সিংহভাগ কর্মীই বাড়ি থেকে কাজ করবেন। যদিও অনেক কর্মীই বাড়ির বদলে এখন অফিসেই কাজে ফিরতে চাইছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক টিসিএস-এর এক সিস্টেম ইঞ্জিনিয়ার জানান, 'ওয়ার্ক ফ্রম হোমে সেভাবে সমস্যা নেই। কিন্তু সপ্তাহে বা মাসে কয়েকদিনের জন্য অফিসে যাওয়া প্রয়োজন। এতে যেমন কঠিন কাজে সুবিধা হয়, তার পাশাপাশি সহকর্মীদের মধ্যে বোঝাপড়া ভাল হয়।'