টুইটারে (এক্স) কার্যকলাপের জন্য সৌদি আদালত এক মহিলাকে ৩৪ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিল। তবে পরবর্তীতে সেই কারাদণ্ডের মেয়াদ কমিয়ে দেওয়া হয়। আর এবার মুক্তি পেলেন ব্রিটেনের লিডস বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি স্কলার সালমা আল শেহাব। একটি মানবাধিকার সংগঠন তাঁর মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
আরও পড়ুন: জার্মানির ‘হামলা’-য় সৌদির ডাক্তার ধরা পড়ল! কে আদতে সে? প্র্যাকটিসও করত কাছেপিঠে
জানা গিয়েছে, ঘটনার সূত্রপাত ২০২১ সালে। ছুটিতে সৌদিতে ফিরে আসার সময় সালমাকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি সৌদি আরবের শিয়া মুসলিম সংখ্যালঘুর সদস্য। দীর্ঘদিন ধরে সুন্নি শাসিত রাজ্যে পদ্ধতিগত বৈষম্যের অভিযোগ করে আসছিলেন। রাজ পরিবারের বিরোধী ব্যক্তিদের ফলো করা এবং তাদের সমর্থন করার অভিযোগ ওঠে সালমার বিরুদ্ধে। বিচারকরা সালমার বিরুদ্ধে জনশৃঙ্খলা বিঘ্নিত এবং সামাজিক কাঠামোকে অস্থিতিশীল করার অভিযোগ এনেছে। এরপর ২০২২ সালে সৌদির আদালত তাঁকে ৩৪ বছরের কারাদণ্ড দেয়।
লন্ডন ভিত্তিক একটি মানবাধিকার গোষ্ঠী এএলকিউএসটি তাঁর মুক্তির কথা ঘোষণা করে। জানুয়ারিতে এএলকিউএসটি এবং অন্যান্য গোষ্ঠীগুলি জানিয়েছিল সালমার সাজা কমিয়ে চার বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আর এবার অতিরিক্ত চার বছরের কারাদণ্ড স্থগিত করা হয়েছে। সংগঠনের বক্তব্য, তাঁকে এখন পূর্ণ স্বাধীনতা প্রদান করতে হবে। যার মধ্যে তাঁর পড়াশোনা শেষ করার জন্য ভ্রমণের অধিকারও অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
যদিও সৌদি আরব তাৎক্ষণিকভাবে তাঁর মুক্তির কথা স্বীকার করেনি। সংবাদমাধ্যমের সামনে এবিষয়ে মুখ খুলতে চায়নি সৌদি প্রশাসন। উল্লেখ্য, তিনি সৌদি আরবের শিয়া মুসলিম সংখ্যালঘু পরিবারের সদস্য। তাঁর বিরুদ্ধে একটি সরকারি চার্জশিট অনুযায়ী, সালমা টুইটারে ভিন্নমতাবলম্বীদের অ্যাকাউন্ট ফলো করেছিলেন এবং মিথ্যা গুজব ছড়িয়েছিলেন। প্রসঙ্গত, যুবরাজ মহম্মদের উত্থানের ফলে ২০১৮ সালে সৌদি আরব নারীদের গাড়ি চালানোর উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়। যুবরাজের এই পদক্ষেপ সামাজিক সংস্কারের একটি বড় অংশ হিসেবে দেশের মানুষদের দৈনন্দিন জীবনযাত্রাকে বদলে দিয়েছে। তবে, তিনি ভিন্নমত পোষণকারীদের উপর কঠোর দমন-পীড়ন নীতি গ্রহণ করা হয়। ক্ষমতা, প্রভাব এবং সম্পদ দিয়ে দেশের অন্যদেরও লক্ষ্যবস্তু করা হয়।