বিশালাকার কচ্ছপ আকৃতির একটি ভাসমান শহর তৈরি করতে চলেছে সৌদি আরব। এমনই দাবি করা হল অ্যারাবিয়ান বিজনেসের এক প্রতিবেদনে। জানা গিয়েছে, ভাসমান এই শহরটির নাম হবে ‘প্যাঞ্জোস’।
উল্লেখ্য, প্রস্তাবিত ভাসমান শহরের ‘প্যাঞ্জোস’ নামটি এসেছে প্রাগৈতিহাসিক কালের অতিমহাদেশ ‘প্যানজিয়া’ থেকে। আজ থেকে কয়েক কোটি বছর বিশ্বের এই অতিমহাদেশকে ঘিরে ছিল প্যান্থালাসা নামক একটি মহাসাগর।
এদিকে সৌদি আরবের ‘প্যাঞ্জোস’ দ্বীপে প্রায় ৬০ হাজার জন বসবাস করতে পারবেন বলে অনুমান করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই দ্বীপতি তৈরির কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। এটি বিশ্বের সর্ববৃহৎ ভাসমান বস্তু হতে চলেছে। বিলাসবহুল এই প্রকল্পটি ইতালীয় ডিজাইন স্টুডিও লাজারিনি দ্বারা ডিজাইন করা হয়েছে।
‘প্যাঞ্জোস’ লম্বায় ১৮০০ ফিট এবং সবথেকে চওড়া অংশে ২০০০ ফুট চওড়া হবে। কচ্ছপ আকৃতির এই ভাসমান দ্বীপের দুই ‘ডানা’য় ১৯টি ভিলা এবং ৬৪টি করে অ্যাপার্টমেন্ট থাকবে। তাছাড়া রুফটপ বাগান, শপিংমল, বিচ ক্লাব থাকবে এতে।
এই দ্বীপের মাঝামাঝি অংশে একটি শিপইয়ার্ড থাকবে। সেই শিপইয়ার্ড সরাসরি সমুদ্রের সঙ্গে যুক্ত থাকবে। এই দ্বীপটি সারা বিশ্বজুড়ে সমুদ্রে ভেসে বেড়াতে পারবে। সমুদ্রের ঢেউ থেকেই শক্তি গ্রহণ করবে এই দ্বীপটির ইঞ্জিন। কোনও জ্বালানি লাগবে না এই দ্বীপটির ভেসে বেড়ানোর জন্য। তাছাড়া এই দ্বীপটিতে সৌর সেল বা ‘সোলার প্যানেল’ও থাকবে।
ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৯.২ কিমি বেগে এগোতে পারবে এই ভাসমান শহরটি। এদিকে এই ভাসমান শহরের বাইরের ডিজাইনটি প্রকাশ করা হলেও ভেতরের ডিজাইন এখনও সামনে আসেনি। জানা গিয়েছে এই শহর তৈরি করতে মোট আট বছর
লাগবে। এর জন্য ৮ বিলিয়ন ডলার খরচ হবে।