বাংলা নিউজ > ঘরে বাইরে > শারীরিক হেনস্থার শিকার, 'এভাবে দমানো যাবে না', মুক্তি পেয়ে প্রত্যয়ী সায়নী

শারীরিক হেনস্থার শিকার, 'এভাবে দমানো যাবে না', মুক্তি পেয়ে প্রত্যয়ী সায়নী

সায়নী ঘোষ। (ফাইল ছবি, সৌজন্য টুূইটার @sayani06)

জামিন পেয়ে সায়নী বলেন, 'আমার বিরুদ্ধে করা অভিযোগ যে ভিত্তিহীন ছিল তা প্রমাণিত হল। আমরা লড়াই চালিয়ে যাব।

মাত্র একরাত হাজতবাস করেই জামিনে মুক্তি পেলেন তৃণমূল যুব নেত্রী সায়নী ঘোষ। আর মুক্তি পেয়েই তিনি জানিয়ে দেন, মিথ্যা মামলা করে তৃণমূলকে ত্রিপুরায় আটকে রাখা যাবে না। এদিন জামিন পেয়ে সায়নী বলেন, 'আমার বিরুদ্ধে করা অভিযোগ যে ভিত্তিহীন ছিল তা প্রমাণিত হল। আমরা লড়াই চালিয়ে যাব। এভাবে দমানো যাবে না। আমার আদালতের প্রতি বিশ্বাস রয়েছে। এটা সত্যের জয়। যে ভাবে লড়াই করে এসেছি, সেই পথেই লড়াই চালিয়ে যাব। মিথ্যা মামলা করে দমানো যাবে না।'

সায়নীর অভিযোগ তাঁকে শারীরিক হেনস্থা করা হয়েছিল। তিনি বলেন, 'রাতে যে ভাবে আক্রমণ করা হয়েছে, তাতে আমি শঙ্কায় পড়ে যাই। আমাকে তো শারীরিক ভাবে হেনস্থাও করা হয়। তার পর আমাকে অন্য একটি পুলিশ স্টেশনে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।' সায়নীর অভিযোগ, 'ত্রিপুরায় অপশাসন চলছে। মানুষ দেখছেন। মানুষ বিচার করবেন। পুলিশ, সিআরপিএফ দিয়ে টার্গেট করা হচ্ছে।'

এদিকে জামিনে মুক্তি পেয়ে সায়নীর মুখে মমতা বন্দ্যপাধ্যায়ের প্রতি আনুগত্য এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা ছিল। তিনি বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা হয়েছে রাতে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আমাকে এই সময়ে যেভাবে সাহায্য করেছেন, তা কখনও ভুলনা না।' তিনি আরও বলেন, 'আমরা এক ইঞ্চিও জমি ছাড়ছি না। এখানে আমাদের দলের কর্মীরা আমার জন্য সারাক্ষণ লড়াই করেছেন।'

উল্লেখ্য, বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার অভিযোগ আনা হয়েছিল। সায়নীর বিরুদ্ধে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীকে কুরুচিকর মন্তব্য করারও অভিযোগ আনা হয়েছিল। তবে আগরতলা আদালতে শুনানি শেষে বিচারক জামিন দেন সায়নীকে। যদিও পুলিশ সায়নীকে দু'দিনের জন্য পুলিশি হেফাজতে রাখার আবেদন জানিয়েছিল।

বন্ধ করুন