আব্রাহাম থমাস
সুপ্রিম কোর্ট বুধবার অভিন্ন দেওয়ানি বিধি সম্পর্কিত সমস্ত আবেদনকে বন্ধ করে দিল। তাদের তরফে বলা হয়েছে, এই বিষয়গুলি পার্লামেন্টের ব্যাপার। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বে বিচারপতিদের বেঞ্চ এনিয়ে জানিয়েছে, এই আইন নিয়ে কথা বলার অর্থ হল সংসদকে তাদের কার্য পরিচালনার ক্ষেত্রে নির্দেশ দেওয়া, কিন্তু আদালত এনিয়ে সংসদকে কিছু বলতে পারে না।
এদিকে কেন্দ্র আগেই এই আবেদনের বিরোধিতা করেছিল। সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহেতা আদালতে জানিয়েছেন, পলিসির দিক থেকে কেন্দ্র অভিন্ন দেওয়ানি বিধিকে সমর্থ করে। তবে এনিয়ে যে কোনও হস্তক্ষেপ সবটাই হবে পার্লামেন্টের মারফৎ।
এদিকে বিজেপি নেতা তথা আইনজীবী অশ্বিনী কুমার উপাধ্য়ায় এনিয়ে আবেদন করেছিলেন। তবে বিচারপতিদের বেঞ্চ জানিয়েছে, আবেদনকারী ধর্ম নিরপেক্ষ ও লিঙ্গ নিরপেক্ষ আইন চেয়েছেন। ডিভোর্স, অভিভাবকত্বের ক্ষেত্রে তিনি এই ধর্ম ও লিঙ্গ নিরপেক্ষ আইন চেয়েছিলেন।
তবে উপাধ্য়ায় এদিন নিজে আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তবে আদালতের নির্দেশে বলা হয়েছে, আইন কমিশন যাতে এটা নিয়ে দেখাশোনা করে এনিয়ে বলার কোনও কারণ নেই। কারণ গোটাটাই সংসদের উপর নির্ভর করছে।
বিচারপতিদের বেঞ্চ জানিয়েছে. কোনটা ঠিক, কোনটা ভুল তার ভেতর আমরা ঢুকছিই না। আমরা বলতে চাইছি, আলোচনার জন্য় এটা একটা ভুল ফোরাম। সংসদ একাই এটা ঠিক করতে পারবে।
এদিকে মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ডও এনিয়ে তাদের মতামত জানিয়েছে। তাদের দাবি উপাধ্যায়ের এর পেছনে কোনও একেবারে পরিষ্কার হাত নিয়ে নেমেছেন এমনটা নয়। তিনি এর আগেও এই ধরনের আবেদন করেছিলেন। সেটা পরে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছিল। উপাধ্যায় আদালতকে জানিয়েছিল, মুসলিম পার্সোনাল ল'তে ডিভোর্স সংক্রান্ত ব্যাপারে আলাদা আইন থাকার জেরে মুসলিম মহিলাদের ভুগতে হয়। সেই ভুক্তভোগীরা যাতে আদালতের সামনে হাজির হন সেকারণেও তিনি আবেদন করেছিলেন।
এদিকে মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ডের তরফ থেকে বিশিষ্ট আইনজীবীরা জানিয়েছেন, উপাধ্য়ায় আগেও একই ধরনের আবেদন করেছিলেন। তিনি আগে বলতেন সবগুলি আবেদন এক। আর এখন তিনি বলছেন সব আবেদনই আলাদা।
এদিকে সেপ্টেম্বর মাসে কেন্দ্রের কাছ থেকে এনিয়ে জবাব চেয়েছিল। তখন আদালত জানিয়েছিল এই আবেদনের মাধ্যমে বিয়ে, ডিভোর্স সহ কিছুক্ষেত্রে একই আইন চাওয়া হচ্ছে। এগুলি ইউনিফর্ম সিভিল কোডেরই অংশ।তবে অক্টোবরে কেন্দ্র জানিয়েছিল, এটা পুরোটাই সংসদের ব্যাপার। আদালতের এনিয়ে করার কিছু নেই।