প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈকে ফাঁসানোর জন্য কী কোনও বৃহত্তর ষড়যন্ত্র ছিল। তাঁর বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থা ও বেঞ্চ ফিক্সিংয়ের অভিযোগ উঠেছিল। সেই অভিযোগের নেপথ্য কি ছিল কোনও বৃহত্তর ষড়যন্ত্র? সেই সংক্রান্ত মামলা বন্ধ করল সুপ্রিম কোর্ট।
এদিন বিচারপতি সঞ্জয় কিষণ কৌলের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ বলে যে প্রায় দুই বছর হয়ে গিয়েছে। তাই এই সংক্রান্ত কোনও ইলেকট্রনিক রেকর্ডিং পাওয়া শক্ত বলে জানায় বেঞ্চ। এই সংক্রান্ত স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে যে মামলা চালু করেছিল সুপ্রিম কোর্ট, সেটি বন্ধ করে দেওয়া হল। এদিন বেঞ্চ বলে যে প্রাক্তন সিজেআইয়ের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার যে অভিযোগ উঠেছিল, সেটা ইতিমধ্যেই তিন সদস্যের প্যানেল খতিয়ে দেখেছে ও তাঁকে সেই অভিযোগ থেকে মুক্ত করা হয়েছে।
এদিন বিচারকরা জানিয়েছেন যে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি পাটনায়েকের প্যানেল কোনও ইলেকট্রনিক রেকর্ড খুঁজে পায়নি ষড়যন্ত্রের বিষয়টি তদন্ত করে দেখার জন্য। সেই জন্য এই মামলাটি চালিয়ে যাওয়ার কোনও অর্থ হয় না, বলে জানিয়েছে শীর্ষ আদালত।
এই প্রসঙ্গে আইবি-র ডিরেক্টরের চিঠির কথা উল্লেখ করেছে শীর্ষ আদালত। সেখানে বলা হয়েছে যে ষড়যন্ত্রের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না কারণ তৎকালীন প্রধান বিচারপতি অসম এনআরসির মতো কিছু কড়া সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। বিচারপতি পাটনায়েকের রিপোর্টে বলা হয়েছে যে ষড়যন্ত্র হয়েছে সেই রকম একটা সন্দেহ উড়িয়ে দেওয়া যায় না। তবে সেটি নির্দিষ্ট ভাবে তদন্ত করা মুস্কিল বলে রিপোর্টে জানানো হয়েছে।
একজন আইনজীবীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৯ সালের ২৫ এপ্রিল প্রাক্তন বিচারপতি পাটনায়েকের প্যানেলকে পুরো বিষয়টি তদন্ত করে দেখতে বলে সুপ্রিম কোর্ট।