শিল্পপতি মুকেশ আম্বানি এবং তার পরিবারকে সরকারি নিরাপত্তা প্রদান করা জারি থাকবে। শুক্রবার কেন্দ্রকে এমনই নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। ত্রিপুরা হাইকোর্টে আম্বানি পরিবারের বিরুদ্ধে একটি জনস্বার্থ মামলা(PIL) খারিজ করেছে সর্বোচ্চ আদালত।
আম্বানিদের সরকারি নিরাপত্তা দেওয়া এবং তাঁদের নিরাপত্তার জন্য অর্থ প্রদান করা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন আবেদনকারী বিকাশ সাহা। উচ্চ আদালত সেই ভিত্তিতে আম্বানিদের নিরাপত্তার প্রয়োজনীয়তা জানার আদেশ দিয়েছিল। সেটায় স্থগিতাদেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। সর্বোচ্চ আদালত জানায়. এর পরে হাইকোর্টে কার্যক্রম চালিয়ে আর কোনও লাভ নেই। তাঁদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তোলার অধিকার আবেদনকারীর নেই।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান মুকেশ আম্বানিকে Z+ নিরাপত্তা প্রদান করে। তাঁর স্ত্রী, নীতা আম্বানি সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স (CRPF)-এর সশস্ত্র কমান্ডোদের প্রদত্ত Y+ নিরাপত্তা পান। তাঁদের ছেলে আকাশ আম্বানি সম্প্রতি রিলায়েন্স জিও ইনফোকম লিমিটেডের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন।
আম্বানিদের পক্ষে, জনপ্রিয় আইনজীবী হরিশ সালভে ছিলেন। লন্ডন থেকে ভিডিও-কনফারেন্সের মাধ্যমে উপস্থিত হন সালভে। তিনি বলেন, এটি দুর্ভাগ্যজনক যে এই জাতীয় বিষয়েও একটি পিআইএল দায়ের হয়েছে এবং আদালত তাতে গুরুত্ব দিচ্ছে।
‘সরকার নিরাপত্তার খরচের জন্য বিল পাঠায়। আমার মক্কেল সেটি সম্পূর্ণরূপে প্রদান করেন। এটা দুর্ভাগ্যজনক যে আদালতে এই পিটিশনগুলি গ্রহণ শুরু করছে এবং অপবাদ ছড়িয়ে পড়ছে,’ বলেন হরিশ সালভে।
এর পাশাপাশি হরিশ সালভে গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে মুম্বইতে আম্বানির বাসভবনের বাইরে একটি বিস্ফোরক-বোঝাই গাড়ির কথাও মনে করিয়ে দেন।
সালভে বলেন, 'আমরা জানি আজকের পরিস্থিতিটা কীরকম। পরিবারের সদস্যদের মধ্যে একজন ভারতের সবচেয়ে বড় ডিজিটাল সংস্থার চেয়ারম্যান। তাঁরা ৪০-৫০ লক্ষ কর্মসংস্থান দেন।'
সালভে বলেন, 'অন্যান্য কিছু দেশের মতো, ভারতে সম্পূর্ণ সশস্ত্র ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষী রাখার কোনো বিধান নেই।' তিনি হাইকোর্টে এই পিটিশনের কার্যক্রম স্থগিত করার অনুরোধ করেন।
এর আগে গত ১১ ডিসেম্বর ২০১৯-এ, বম্বে হাইকোর্টে একজন হিমাংশু আগরওয়াল নামে এক ব্যক্তি দায়ের করা অনুরূপ পিআইএল খারিজ করেছিল যিনি আম্বানিদের সুরক্ষা কভার দেওয়ার জন্য অপ্রয়োজনীয় রাষ্ট্রীয় ব্যয় নিয়ে প্রশ্ন করেছিলেন এবং এটি প্রত্যাহারের জন্য প্রার্থনা করেছিলেন। এই আদেশের বিরুদ্ধে, আগরওয়াল সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন যা তার আপিল গ্রহণ করতে অস্বীকার করে।