হরিয়ানার মেওয়াত জেলায় নাকি হিন্দুদের উপর অত্যাচার চলছে। এই অভিযোগ জানিয়ে সুপ্রিমকোর্টে জনস্বার্থ মামলার আবেদন করা হয়েছিল। তবে সেই মামলার আবেদন খারিজ করে দিল শীর্ষ আদালত। এই মামলার আবেদনটি প্রধান বিচারপতি এনভি রমানার নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের সামনে উত্থাপিত হয়েছিল। এর প্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতি বলেন, 'আমরা খুব যত্ন সহকারে এই আবেদন পড়েছি। জমা দেওয়া দাবি দাওয়া খতিয়ে দেখেছি। তবে এই আবেদনকে আমরা সংবিধানের ৩২ নম্বর ধারার আওতায় গ্রহণ করতে পারব না। তাই এই আবেদন খারিজ করা হল।'
উল্লেখ্য, আবেদনকারীরা বিভিন্ন সংবাদপত্রের বরাত দিয়ে দাবি করেছিলেন যে হরিয়ানার মেয়াওতে হিন্দু মহিলাদের উপর অত্যাচার চালানো হচ্ছে। পাশাপাশি সেই এলাকার সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিমরা নাকি মহিলাদের ধর্মান্তরিত করছে। যাঁরা নাকি ধর্ম বদলে সায় দিচ্ছেন না, তাঁদেরকে মেরে ফেলা হচ্ছে। এহেন অভিযোগ জানিয়েই রঞ্জনা অগ্নিহোত্রি নামক উত্তরপ্রদেশের এক আইনজীবীর নেতৃত্বে মামলার আবেদন জানিয়েছিলেন পাঁচজন মানুষ।
এদিকে সুপ্রিমকোর্ট শুধুমাত্র সংবাদপত্রের খবরের উপর ভিত্তি করে মামলা গ্রহণ করতে চায়নি। সেই সময় আবেদনকারীদের আইনজীবী বিকাশ সিং দাবি করেন, আবেদনকারীদের দুই জন ঘটনাস্থলে গিয়ে নিজেদের চোখে সব দেখে এসেছেন। এর আগে ২০২০ সালেই চার সদস্যের একটি কমিটি সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খট্টরকে রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়। তাতেও নাকি, খন, জখম, ধর্ষণ, অত্যাচারের উল্লেখ ছিল।
আবেদনকারী ২০২০ সালের অক্টোবরের একটি ঘটনা তুলে ধরেন যেখানে নিকিতা তোমার নামক এক কলেজ ছাত্রীকে রাস্তায় খুন করা হয়। অভিযোগ, এক মুসলিম ছেলের বিয়ের প্রস্তাব নাকচ করায় প্রাণ হারাতে হয়েছিল নিকিতাকে। এই সব ঘটনার ভিত্তিতেই মেয়াত জেলায় হিন্দুদের মৌলিক অধিকার খর্ব হচ্ছে বলে অভিযোগ জানিয়ে মামলার আবেদন করে আবেদনকারীরা। এই ঘটনার দাবি জানীয়ে সুপ্রিমকোর্টের দ্বারস্থ হলেও সংবিধানের ৩২ নম্বর ধারা অনুযায়ী এই মামলা গ্রহণ করতে চাইল না শীর্ষ আদালত।