আদানি-হিন্ডেনবার্গ মামলায় রিভিউ পিটিশন খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট। গত ৮ মে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় , বিচারপতি জেবি পর্দিওয়ালা ও মনোজ মিশ্রের ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশে বলেছিলেন, রেকর্ডে কোনও আপাতভাবে ভুল নেই। রিভিউ পিটিশনকে খারিজ করা হচ্ছে। সোমবার শীর্ষ আদালতের ওয়েবসাইটে এই মামলার অর্ডারের বিষয়টি প্রকাশিত হয়েছে। খবর বার অ্য়ান্ড বেঞ্চের প্রতিবেদন অনুসারে।
এদিকে গত জানুয়ারি মাসের রায়ে সুপ্রিম কোর্ট সেবির আওতার মধ্য়ে হস্তক্ষেপ করতে চায়নি আদালত। হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ রিপোর্টের ভিত্তিতে অন্য় কোনও স্বাধীন এজেন্সিকে দিয়ে তদন্তের ব্যাপারে একাধিক আবেদন জমা পড়েছিল আদালতে। কিন্তু সেগুলি মানতে চায়নি আদালত। এরপরই তা পুনরায় বিবেচনার জন্য আবেদন জমা পড়ে আদালতে।
আদালত তার রায়ে জানিয়েছে, এই মামলায় দেখা গিয়েছে সেবি কোনওভাবেই তার কাজে ব্যর্থ হয়নি। সেবি এই তদন্তে কাজ করতে পারছেন না এমন কিছুও পাওয়া যায়নি। এদিকে অন্যতম আবেদনকারী অনামিকা জয়সওয়াল এই রিভিউ পিটিশনটা দাখিল করেন। সেখানে বলা হয় যে সুপ্রিম কোর্টের রায়ে একাধিক ভুল রয়েছে।
রিভিউ পিটিশনে উল্লেখ করা হয়েছে যে , এই নির্দেশে একাধিক অসংগতি ছিল। যার ভিত্তিতে এই নির্দেশকে আবার বিবেচনা করা হোক। তিনি জানিয়েছিলেন, ১৯ এ ধারা ভঙ্গ করেছেন আদানি গ্রুপ। এটা একাধিক মাধ্যমে জানা গিয়েছে।
এদিকে এর আগে গৌতম আদানি এই হিন্ডেনবার্গ প্রসঙ্গে মুখ খুলেছিলেন।
আদানি বলেছিলেন, 'আমাদের বদনাম করার জন্য এটা করা হয়েছে। এটি ছিল দ্বিপক্ষীয় আক্রমণ, আমাদের আর্থিক অবস্থার অস্পষ্ট সমালোচনা।
তিনি আরও বলেন, 'আমরা মার্জিন-লিঙ্কড ফিনান্সিংয়ে ১৭,৫০০ কোটি টাকা প্রি-পেমেন্ট করে যে কোনও অস্থিরতার বিরুদ্ধে আমাদের পোর্টফোলিওকে সুরক্ষিত রেখেছি।
হিন্ডেনবার্গ আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে স্টক ম্যানিপুলেশন এবং ট্যাক্স হ্যাভেনের অনুপযুক্ত ব্যবহারের অভিযোগ এনেছিল। এর জেরে কিছুটা হলেও বেকায়দায় পড়ে আদানির সংস্থা। গৌতম আদানির বন্দর থেকে বিদ্যুৎ সংস্থায় বিক্রি বন্ধ হয়ে যায়।