কারা দোষী সেটা খুঁজে বের করা আদালতের কর্তব্য। আর সেই নিরিখে এফআইআরে বা চার্জশিটে নাম না থাকা কোনও অভিযুক্তকে সমন পাঠানোর ক্ষমতা দেওয়া হচ্ছে ম্যাজিস্ট্রেটকেও। এমনটাই জানাল সুপ্রিম কোর্ট। এদিকে উত্তরপ্রদেশের একটি ধর্ষণের মামলায় এক অভিযুক্ত ম্য়াজিস্ট্রেটের নির্দেশকে ঘিরে আপত্তি জানিয়েছিল। ম্য়াজিস্ট্রেট ওই অভিযুক্তকে আদালতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন, কারণ ওই ব্যক্তির নামই জানিয়ে দিয়েছিল নির্যাতিতা। তবে অভিযুক্তের নাম এফআইআরেও ছিল না।
আর এনিয়ে বিচারপতি বিনীত শরন ও অনিরূদ্ধ বসু জানিয়েছেন, কে দোষী সেটা খুঁজে বের করা আদালতের কর্তব্য। পুলিশ যাদের আদালতে পাঠিয়েছে সেটা বাদ দিয়েও অন্য কেউ যদি দোষী বলে মনে করা হয় তবে তাকেও আদালতে পাঠানো তার কর্তব্য। এক্ষেত্রে ম্যাজিস্ট্রেটকে প্রয়োজনীয় নথিপত্র পরীক্ষা করে একটা সিদ্ধান্তে আসতে হবে।
২০১২ সালে বুলন্দশহরে ১৮ বছরের এক যুবতীকে ধর্ষণ করা হয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে। নির্যাতিতা জানিয়েছিলেন তিনি একটি বাস স্ট্যান্ডে দাঁড়িয়েছিলেন সেই সময় দুটি ছেলে অপর একজনকে ডাকে। এরপর তাকে গাড়িতে তুলে ধর্ষণ করা হয়। এদিকে মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট দুজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের চার্জ আনেন। এরপর সেশন কোর্টের নির্দেশ অনুসারে সিজেএম তৃতীয় অভিযুক্ত নাহার সিংকেও ২০১৫ সালে ট্রায়ালে অংশ নেওয়ার নির্দেশ দেন।