জোর করে ধর্মান্তরণকরণ একটি গুরুতর বিষয়। সুপ্রিম কোর্ট এই ইস্যুতে কেন্দ্রের কাছে জানতে চেয়েছে যে তারা কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে। সুপ্রিম কোর্টের তরফে এক পর্যবেক্ষণে এই বিষয়টি সামনে এসেছে। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, এই বিষয়ে কেন্দ্রকে একটি অবস্থান নিতে হবে। আর এই জোর পূর্বক ধর্মান্তরকরণ রুখতে কেন্দ্র কী কী পদক্ষেপ নিচ্ছে তা এক সপ্তাহের মধ্যে জানাতে হবে।
সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিমা কোহলি ও এম আর শাহের বেঞ্চ সাফ জানিয়েছে, ‘যদি এটা সত্যি হয় (জোর পূর্বক ধর্মান্তরকরণ), তাহলে তা এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু যা শেষ পর্যন্ত দেশের নিরাপত্তাকে প্রভাবিত করবে। বিবেকের স্বাধীনতা ও নাগরিকদের ধর্মীয় স্বাধীনতাকে এটি ব্যাহত করবে। ’ একই সঙ্গে আদালত বলে, ‘কেন্দ্রের তরফে আন্তরিক চেষ্টা করতে হবে যাতে জোর পূর্বক ধর্মান্তরকরণ রোখা যায়। নয়তো একটা খুবই কঠিন পরিস্থিতি আসতে পারে। আপনারা বলুন (কেন্দ্র) কোন পদক্ষেপ নিচ্ছেন, আপনাদের পদক্ষেপ করতে হবে।’ এইভাবেই কেন্দ্রের কাছে সুপ্রিম কোর্ট জানতে চেয়েছে যে তারা এই বিষয়ে কী কী পদক্ষেপের পথে যেতে চায়। সেই সম্পর্কে যেন এক সপ্তাহের মধ্যেই জানানো হয় সুপ্রিম কোর্টকে।
প্রসঙ্গত, সদ্য দেশে একাধিক জোর পূর্বক ধর্মান্তরকরণ ইস্যুর ঘটনা সামনে আসতে শুরু করেছে। সুপ্রিম কোর্টের এই বক্তব্যের প্রেক্ষিতে সলিসিটার জেনারেল তুষার মেহতা বলেন, ‘এই বিষয়ে দুটি আইন রয়েছে, একটি ওড়িশা সরকারের অন্যটি মধ্যপ্রদেশ সরকারের। ’ তিনি জানান, সেই আইন অনুযায়ী প্রতারণা, বা আর্থিক বিনিময়ে জোর পূর্বক ধর্মান্তরকরণ সম্পর্কীয় ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব। তুষার মেহতার অভিযোগ, আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকায় অনবরত এই ধর্মান্তরকরণ চলছে। জানা গিয়েছে, ২৮ নভেম্বর এই ইস্যুতে পরবর্তী শুনানি হবে।