একরত্তি মেয়ের কষ্ট কার্যত ছুঁয়ে গেল সুপ্রিম কোর্টকেও। মা অস্বাভাবিক মৃত্য হয়েছে আগেই। আর পণের দাবিতে সেই মাকে খুন করার অভিযোগে বন্দি ছিলেন বাবা। বাড়িতে তিন বছরের মেয়ে। এদিকে বাবা, মাকে ছাড়া মামার বাড়িতে থাকার সময় ক্রমেই অসুস্থ হয়ে পড়ছিল মেয়েটি। মানসিকভাবে একেবারে ভেঙে পড়েছি ছোট্ট মেয়েটি। এদিকে মৃত মহিলার বাবাও দাবি করেন, জামাইকে মুক্তি দেওয়া হোক। না হলে মেয়েটিকে রাখা যাচ্ছে না। ক্রমেই মানসিকভাবে ভেঙে পড়ছে।
মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের জাস্টিস ইন্দিরা বন্দ্যোপাধ্যায় ও জাস্টিস এমআর শাহের বেঞ্চ তাঁদের নির্দেশে জানিয়েছেন, তিনবছরের মেয়েটি অ্য়াকিউট ব্যাসিল্যারি ডিসেন্ট্রি, অ্য়ানিমিয়াতে ভুগছে। তার উপযুক্ত যত্নের প্রয়োজন। বিষয়টি বিবেচনা করে ছয় সপ্তাহের অন্তর্বতীকালীন জামিনে বাবাকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
তবে ওয়াকিবহাল মহলের মতে, আদালতের কাছে এই ধরণের মামলার সঙ্গে জড়িয়ে থাকা আবেগ, সম্পর্ক ও কষ্টগুলিকে ঠিকঠাক করে পরিচালনা করা যথেষ্ট অসুবিধাজনক। আদালত সূত্রে খবর, ওই চিকিৎসক দম্পতি ২০১৪ সালে বিয়ে করেছিলেন। পরপর দুটি মিস ক্যারেজের পর তাঁরা ওই শিশুকে দত্তক নেন। এরপর গত বছরের ৩রা আগস্ট ওই বধূকে ঝুলন্ত অবস্থায় আগ্রার বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়। এদিকে ওই মহিলার বাবা আগেই জামাই ও মেয়ের শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে পণের দাবিতে অত্যাচারের অভিযোগ তুলে এফআইআর করেছিলেন। এরপর ওই বধূর মৃত্যুর পর পুলিশ তাঁর চিকিৎসক স্বামীকে গ্রেফতার করে। এদিকে আদালতে প্রশ্ন ওঠে, দাদুর কাছে আপাতত মেয়েটি রয়েছে। সেক্ষেত্রে কেন তাকে মুক্তি দেওয়া হবে? এব্যাপারে বধূর বাবার আইনজীবী সঞ্জয় খাড়ে বলেন, ‘দত্তক নেওয়ার পর থেকেই মেয়েটি বাবা মায়ের কাছে থাকত।বাবা মা কাউকে না পেয়ে মেয়েটি খাওয়া দাওয়া করছে না।’ এরপরই ওই ব্যক্তিতে জামিনে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দেয় আদালত। পরবর্তী নির্দেশ ছয় সপ্তাহ পর দেওয়া হবে। খবর আদালত সূত্রে।