দিল্লিতে চাষীদের প্রবেশ করতে দেওয়া হবে, সেটা আইন-শৃঙ্খলার বিষয় ও এই সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত দিল্লি পুলিশকেই নিতে হবে বলে সোমবার জানান সুপ্রিম কোর্ট। প্রধান বিচারপতি বোবডের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ডিভিশন বেঞ্চ এই কথা বলে। তাদের কাছে দিল্লি পুলিশের তরফ থেকে আর্জি জানানো হয়েছিল যাতে চাষীদের নির্দেশ দেওয়া হয় প্রজাতন্ত্র দিবসের প্যারেড বিঘ্ন না ঘটানোর জন্য।
এই মামলাটির ফের শুনানি হবে ২০ জানুয়ারি যেদিন চাষী আইন সংক্রান্ত পিটিশন যে বেঞ্চটি শুনছিল, তারা আবার একসঙ্গে আসতে পারবেন। ইতিমধ্যেই চাষী আইনের ওপর স্থগিতাদেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট ও একটি কমিটি গঠন করেছে আদালত। এদিন মামলাটি মুলতুবি করার আগে সিজেআই জানিয়েছেন যে চাষীদের ঢুকতে দেওয়া হবে কি হবে না, সেটা আইন শৃঙ্খলার বিষয়। সেই সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নিতে হবে পুলিশকে। পুলিশ আইনের আওতায় যথেষ্ট ক্ষমতা আছে এটি ঠিক করার যে কাকে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে, কি শর্ত আরোপ করা হবে ও কতজন আসতে পারবে।
এদিন অ্যাটর্নি জেনারেল কেকে বেনুগোপাল বলেন আদালতের নির্দেশ দেওয়া উচিত কারণ লাখ লাখ চাষী এখন দিল্লিতে ঢুকতে চাইছে। চাষীদের মধ্যে কিছু খলিস্থানি সংগঠন মিশে থাকার কথা আগেই বলেছে কেন্দ্র। নিজেদের পিটিশনে দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে যে ২৬ জানুয়ারি দিল্লিতে ট্র্যাক্টর মিছিল করতে দেওয়া উচিত নয়, কারণ বিশ্বের চোখে ভারতের ইমেজ তাতে ভুলুন্ঠিত হবে।
এদিন সুপ্রিম কোর্ট অবশ্য বলে যে একটি বিষয় ছাড়া এই পুরো চাষী বিক্ষোভের বিষয় নিয়ে তারা হস্তক্ষেপ করছে না। পুলিশকে নিজের ক্ষমতা প্রয়োগ করতে সুপ্রিম কোর্টকে বলার দরকার নেই বলে জানায় আদালত। পরের শুনানিতে কেন্দ্রের তরফ থেকে বিস্তারিত ভাবে বলা হবে কেন এই ট্র্যাক্টর মিছিল ওইদিন রাজধানীতে হতে দেওয়া উচিত নয়। এদিন কৃষক সংগঠনদের পক্ষেও আইনজীবী উপস্থিত ছিল। দুই পক্ষের কথা ফের বুধবার শুনবে সুপ্রিম কোর্ট। কমিটিতে একজন সদস্য সরে দাড়ানোয় সেই শূন্যস্থান পূরণও করতে পারে আদালত। যদিও কিছু চাষী সংগঠন বলেছে যে তারা চায় কমিটি নতুন করে গঠিত করা হোক কারণ বর্তমান সদস্য প্রত্যেকেই কৃষি আইনের সমর্থক।