আদালতের অবমাননা করেছেন প্রখ্যাত আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ। শুক্রবার এই কথাই জানাল বিচারপতি অরুণ মিশ্রর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের সুপ্রিম কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। তবে প্রশান্ত ভূষণের শাস্তি কী হবে, সেটি এইদিন বলেনি বেঞ্চ। তার শুনানি হবে ২০ অগস্ট।
আদালত অবমাননার জন্য সর্বোচ্চ ছয় মাসের জেল বা ২০ হাজার টাকার জরিমানা বা উভয় দণ্ড হতে পারে। প্রসঙ্গত, ২৭ জুন সুপ্রিম কোর্টের বিরুদ্ধে ও ২৯ জুন প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে টুইট করেন প্রশান্ত ভূষণ। এর জেরে সুপ্রিম কোর্ট তাঁকে ২২ জুলাই নোটিস দেয়।
প্রথম টুইটটিতে অভিযোগ করা হয় যে গণতন্ত্র ধ্বংস করার ক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্ট ও শেষ চার প্রাক্তন বিচারপতির বড় ভূমিকা রয়েছে। পরের টুইটে সিজেআই বোবডে কেন বিলাসবহুল বাইক চড়ছেন, তাও একজন বিজেপি কর্মীর, সেই নিয়ে অভিযোগ করেছিলেন এই অ্যাক্টিভিস্ট আইনজীবী।
মামলা চলাকালীন নিজের এই টুইটের জন্য ক্ষমা চাইতে রাজি হননি প্রশান্ত ভূষণ। তিনি বলেন বাক-স্বাধীনতা তাঁর সাংবিধানিক অধিকারের অংশ। প্রসঙ্গত, আরো একটি আদালত অবমাননার মামলা ঝুলছে তার মাথায়। একই বেঞ্চ সেটার শুনানি করছে। ২০০৯ সালে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তৎকালীন প্রধান বিচারপতিকে নিয়ে কিছু অশোভন উক্তি করেন প্রশান্ত ভূষণ। তার জেরেই এই মামলা। ১৭ অগস্ট সেই মামলারও শুনানি হবে।