শ্রাবণের প্রথম সোমবার আজ। এমন দিনে দিকে দিকে চলছে শিবের পুজো ঘিরে কাঁওয়ার যাত্রা। এদিকে, কাঁওয়ার যাত্রার আগে, উত্তর প্রদেশে যোগী সরকার একটি নির্দেশ দিয়েছিল। কাঁওয়ার যাত্রার রুটে সমস্ত দোকানে, দোকানের মালিকের নাম নেমপ্লেটে লিখে রাখতে হবে বলে নির্দেশ দেয় উত্তর প্রদেশের বিজেপির সরকার। সেই নির্দেশ আপাতত স্থগিত রাখতে অন্তর্বর্তী নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। এই নিয়ে যোগী সরকারের কাছে সুুপ্রিম কোর্টের তরফে গিয়েছে নোটিস।
সুুপ্রিম কোর্টে যোগী সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে মামলা করেছিল এক এনজিও। সেই মামলার শুনানি হয়, বিচারপতি ঋষিকেশ রায় ও এসভিএন ভাট্টির বেঞ্চে। মামলার শুনানিতে উত্তর প্রদেশ ছাড়াও, উত্তরাখণ্ড ও মধ্যপ্রদেশের সরকারের কাছে নোটিস পাঠায় সুপ্রিম কোর্ট। ‘দ্য অ্যাসোসিয়েশন অফ প্রোটেকশন অফ সিভিল রাইটস’ নামে এক এনজিও এই মর্মে উত্তর প্রদেশের সরকারের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে আগেই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল। পিটিশনারদের পক্ষের আইনজীবী ছিলেন কংগ্রেসের অভিষেক মনু সিংভি। তিনি বলেন, আদেশটি আইনের কোনও কর্তৃত্ব ছাড়াই জারি করা হয়েছিল এবং এটিকে ‘ছদ্মবেশ’ বলে অভিহিত করা হয়। উত্তর প্রদেশের সরকারের নির্দেশকে টার্গেট করে অভিষেক মনু সিংভি বলেন,'এটি কানওয়ার যাত্রার জন্য একটি ছদ্মবেশী আদেশ। নাম না জানালে লঙ্ঘনকারীদের জরিমানা করা হবে। আমরা হাজার হাজার কিলোমিটারের কথা বলছি। এসব দোকানের বেশির ভাগই চায়ের স্টল এবং কিছু ফলের দোকান মালিকদের দোকান রয়েছে। এটা অর্থনৈতিক মৃত্যু।'
গত সপ্তাহে, মুজাফফরনগর পুলিশ কানওয়ার যাত্রা রুটের সমস্ত ভোজনশালার মালিকদের নাম প্রদর্শনের নির্দেশ দিয়েছিল। পরে, যোগী আদিত্যনাথের নেতৃত্বাধীন উত্তরপ্রদেশ সরকার রাজ্য জুড়ে আদেশটি কার্যকর করে। এই মামলা সুপ্রিম কোর্টে গড়াতেই দেশের শীর্ষ কোর্ট সাফ বলে, দোকানের মালিকদের নাম নেমপ্লেটে লেখার দরকার নেই, শুধু খাবার কী কী রয়েছে, তার তালিকা বাইরে টাঙানো যাবে। উল্লেখ্য, কেন্দ্রে বিজেপি সরকারের শরিক দল জেডিইউ, আরএলডির তরফেও কাঁওয়ার যাত্রা নিয়ে যোগী সরকারের নির্দেশের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিল। তারপরই সুপ্রিম কোর্টের তরফে এল এই বার্তা।