আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প চালু করা না নিযে পশ্চিমবঙ্গ, দিল্লি-সহ চার রাজ্যের জবাব তলব করল সুপ্রিম কোর্ট। একইসঙ্গে কেন্দ্রকেও নোটিস দিয়েছে শীর্ষ আদালত।
সম্প্রতি নিজের পিটিশনে হায়দরাবাদের পি শেখর রাও জানান, তেলাঙ্গানা, পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা ও দিল্লি ছাড়া দেশের সব রাজ্যেই আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প চালু করা হয়েছে। যে প্রকল্পের আওতায় করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা, চিকিৎসা-সহ বিভিন্ন শারীরিক সমস্যার চিকিৎসার সুবিধা পাওয়া যায়। কিন্তু স্বাস্থ্যবিমা ও সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার উপযুক্ত পরিকাঠামোর অভাবে বিপুল টাকা গুনে বেসরসকারি হাসপাতালে করোনা চিকিৎসা করতে বাধ্য হচ্ছেন মানুষ।যা সংবিধানের ১৪ নম্বর ধারা (আইনের চোখে সবাই সমান) এবং ২১ নম্বর ধারার (জীবন এবং ব্যক্তিগত স্বাধীনতার সুরক্ষা) বিরোধী।
আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প চালু না করার সিদ্ধান্তকে ‘বেআইনি’ এবং ‘অসাংবিধানিক’ ঘোষণা করারও আর্জি জানিয়েছেন তিনি। রাও দাবি করেছেন, চার রাজ্যের গরিব ও মধ্যবিত্ত মানুষের সুবিধার্থে আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প চালু করা হোক। একইসঙ্গে কেন্দ্র এবং জাতীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষকে একটি প্রকল্পের প্রণয়ন করার আর্জি জানান। যার আওতায় ওই চার রাজ্যের মানুষ আয়ুষ্মান ভারত বা রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্যবিমা প্রকল্প ব্যবহারের বিকল্প পাবেন।
সেই মামলার শুনানিতে প্রধান বিচারপতি এস এ বোবদের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ চার রাজ্যকে নোটিস দিয়ে দু'সপ্তাহের মধ্যে জবাব চেয়েছে। একইসঙ্গে জাতীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষকেও নোটিস পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছিলেন, আয়ুষ্মান প্রকল্পে ৮০ শতাংশ টাকা দেয় রাজ্য। বাকিটা দেয় কেন্দ্র। অথচ পুরো প্রকল্পের কৃতিত্ব নিচ্ছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। সেই অভিযোগেই আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প থেকে সরে আসে রাজ্য। এমনকী মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেন, বাংলায় আয়ুষ্মান ভারতের নাম ‘স্বাস্থ্যসাথী’ রাখা হবে বলে প্রাথমিকভাবে জানিয়েছিল কেন্দ্র। পরে সেই অবস্থান পালটে ফেলে মোদী সরকার। বাড়ি বাড়ি যে কার্ড পাঠানো হয়েছিল, তাতে স্বাস্থ্যসাথীর নাম ছিল না। আপাতত পশ্চিমবঙ্গে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পই চালু আছে।