পেগাসাস প্রসঙ্গে বিচারবিভাগীয় তদন্তে চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছিলেন দুজন সাংবাদিক। আগামী সপ্তাহে সুপ্রিম কোর্টে সেই শুনানি হতে পারে। প্রধান বিচারপতি এনভি রামান্নার নেতৃত্বাধীন বেঞ্চের কাছে এই আবেদন করা হয়েছে। আইনজীবী কপিল সিবাল জানিয়েছেন, ‘এই বিষয়টি সাধারণ মানুষের স্বাধীনতার উপর হস্তক্ষেপ করেছে। পাশাপাশি বিরোধী দলের নেতা, সাংবাদিক, সমাজকর্মীদের উপরেও নজর রেখেছে এই পেগাসাস। এটি শুধু দেশের মাটিতে নয়, বিদেশেও চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।’ জাস্টিস সূর্যকান্ত জানিয়েছেন, ‘মামলাটি তালিকাভুক্ত করা হবে। তবে সবটাই নির্ভর করছে কাজের চাপের উপর।’ সামনের সপ্তাহে সোমবার ও মঙ্গলবার বাদ দিয়ে যেকোনও দিন মামলাটি আদালতে তোলার ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট আইনজীবীরা আবেদন করেছেন। কপিল সিবালের অনুরোধে বেঞ্চ সাড়া দিয়েছে। তবে কবে মামলাটি তোলা হবে সেব্য়াপারে এখনও দিনক্ষণ স্থির করা হয়নি।
আবেদনকারী সাংবাদিক এন রাম ও এশিয়ান কলেজ অফ জার্নালিজমের প্রতিষ্ঠাতা শশীকুমার বালাকৃষ্ণ মেনন কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকেও উত্তর চেয়েছেন যে ভারতীয় নাগরিকের ফোনে আড়ি পাতার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার বা তার কোনও এজেন্সি পেগাসাস ব্যবহারে ক্ষেত্রে কি কোনও লাইসেন্স পেয়েছিল? অবসরপ্রাপ্ত অথবা কর্মরত বিচারপতির তত্ত্বাবধানে আড়ি পাতার অভিযোগের তদন্তের জন্যও তাঁরা আবেদন করেছেন। পাশাপাশি এর দায়ভার কে নেবে সেটাও নির্দিষ্ট করার জন্য় আবেদন করা হয়েছে। পাশাপাশি গোটা ঘটনাকে সাইবার সন্ত্রাস বলেও তাঁরা উল্লেখ করেছেন। প্রসঙ্গত অ্যাডভোকেট এমএল শর্মা ও রাজ্য সভার সাংসদ জন ব্রিটাসও পৃথকভাবে পেগাসাস কেলেঙ্কারির তদন্তে চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছে।