ভোপাল গ্যাস দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের পরিবারকে বাড়তি ক্ষতিপূরণ দেওয়া নিয়ে কেন্দ্রের আর্জি খারিজ করল সুপ্রিম কোর্ট। এই রায় দেওয়ার সময় ১৯৮৪ সালের ভোপাল গ্যাস দুর্ঘটনা ঘিরে কেন্দ্রের উদাসীনতা ঘিরেও কড়া বার্তা দেয় সুপ্রিম কোর্ট। কোর্ট জানিয়েছে, রিজার্ভ ব্যাঙ্কে যে ৫০ কোটি টাকা পড়ে রয়েছে তা দিয়ে বীমার ক্ষেত্রে পড়ে থাকা ‘ক্লেইম’ গুলির বিষয়ে বিবেচনা করা হোক।
এদিকে, কোর্ট তার রায়ে দানের সময় তুলে ধরেছে, বীমার ক্ষেত্রের বিষয়টি। বলা হয়েছে,বীমার ক্ষেত্রে যে নীতি কেন্দ্রের অবলম্বন করা উচিত ছিল সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে, তা করতে পারেনি কেন্দ্র। কেন্দ্রের তরফে দায়ের করা কিউরেটিভ পিচটিশনের সাপেক্ষে এই মামলা নিয়ে বার্তা দেয় শীর্ষ আদালত। এই পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হয়।বিচারপতি এসকে কৌলের নেতৃত্বে এই বেঞ্চে শুনানি হয়। বেঞ্চে ছিলেন, বিচারপতি অভয় এস ওকা, সঞ্জীব খান্না, জেকে মহেশ্বরী, বিক্রম নাথ। কেন্দ্রের তরফে এদিন হাজির ছিলেন দেশের অ্যাটর্নি জেনারেল আর বেঙ্কটরমনি। অন্যদিকে, ক্ষতিগ্রস্তদের পরিবারের তরফে ছিলেন আইনজীবী করুণা নন্দী ও সঞ্জীব পারিখ। তাদের বিরুদ্ধ পক্ষে ‘ডাউ ক্যামেক্যালস’ এর হয়ে কোর্টে প্রতিনিধি ছিলেন বিশিষ্ট আইনজীবী হরিশ সালভে। এর আগে, ১৯৮৪ সালে ভোপাল গ্যাস দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের ইউনিয়ন কার্বাইড কর্পোরেশনের অধিগ্রহণে থাকা সংস্থাগুলির কাছ থেকে ৭৪০ মিলিয়ন ডলারের পরিবর্তে ৭,৪০০ কোটি টাকা অতিরিক্ত ক্ষতিপূরণের জন্য কিউরেটিভ পিটিশনের হাত ধরে পদক্ষেপ করে। এই ৪৭০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার যা ১৯৮৯ সালে মামলার নিষ্পত্তির সময় ৭১৫ কোটি টাকা ভারতীয় মূল্যে ধার্য হয়েছিল। ('বিয়ে নীতিগত বিষয়, আলোচনা প্রয়োজন', সমলিঙ্গ বিবাহ ইস্যুতে বললেন রিজিজু )
কোর্ট তার রায়ে জানায়, কেন্দ্রকে আরবিআইকে পড়ে থাকা ৫০ কোটি টাকা ব্যবহারে ভোপাল গ্যাস দুর্ঘটনায় বীমার প্রাপকদের আর্জির বিষয়ে বিবেচনা করতে বলা হয়েছে। বলা হয়েছে, প্রো রাটার থেকে প্রায় ছয় গুণ ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে ক্ষতিগ্রস্তদের পরিবারকে। কোর্ট বলছে, এই বিষয়টি ‘ফের একবার খোলা হলে তা প্যান্ডোরাস বক্স খোলার মতো অবস্থা হবে।’ এতে বীমার দাবিদারদের ক্ষতি হবে বলে মনে করা হচ্ছে।