২০১৯ সালের গবাদি পশু পাচারের একটি মামলায় গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ করল সুপ্রিম কোর্ট। পাচার হওয়া পশু কার কাছে থাকবে, সেই প্রশ্নের জবাবে শীর্ষ আদালত সাফ জানাল, কোনও পশু মালিক যদি নিজেই পশু পাচার করার চেষ্টা করে, তাহবে তার কাছে সেই পশুদের ফিরিয়ে দেওয়ার কোনও প্রশ্নই ওঠে না। এই আবহে এই মামলায় এক গোশালাকেই পশুগুলিকে রাখার অনুমতি দিল শীর্ষ আদালত।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে মহারাষ্ট্রে ১৫টি ষাঁড় এবং তিনটি মহিষ গাড়িতে করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল মহারাষ্ট্রে। পশুর মালিক নিজেই পশুগুলিকে নিয়ে যাচ্ছিল অন্যত্র। তবে সেই মালিকের কাছে সেই গবাদি পশু নিয়ে যাওয়ার কোনও বৈধ পার্মিট ছিল না। এই আবহে সেই গবাদি পশু মালিকের বিরুদ্ধে এফআইআর রুজু করা হয়েছিল। এদিকে একটি গোশালাকে সেই পশুগুলির অন্তর্বর্তীকালীন হেফাজত দিয়েছিলেন একজন ফার্স্ট ক্লাস জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট। তবে ম্যাজিস্ট্রেটের সেই রায়কে খারিজ করে মালিকের কাছেই পশুগুলিকে পাঠানোর নির্দেশ দেন সেসন জজ। এরপর সেই মামলা সংক্রান্ত একটি রিট পিটিশন দাখিল হয় বম্বে হাই কোর্টে। সেখানে খারিজ হয়ে যায় মামলার আবেদন। পরে সুপ্রিম কোর্টে গড়ায় মামলার বল।
এই আবহে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, এটা নিশ্চিত করা হাই কোর্টের দায়িত্ব যে যতক্ষণ না অভিযুক্ত ‘মালিকে’র বিরুদ্ধে মামলার নিষ্পত্তি হচ্ছে, ততক্ষণ সেই পশুগুলি আইন অনুযায়ী নিকটবর্তী গোশালায় নিরাপদে রাখা হয়। সুপ্রিম কোর্ট বলে, ‘আবেদনকারী গোশালা এই পশুগুলির হেফাজত পেতে ইচ্ছুক। এদিকে প্রাথমিক ভাবে দেখা যাচ্ছে, পশুগুলির মালির আইন ভঙ্গ করে তাদের এক জায়দা থেকে অন্য জায়গায় নিয়ে যাচ্ছিল। এই আবহে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট প্রথমে যে নির্দেশ দিয়েছিলেন, সেটাই সঠিক। এই পশুগুলিকে আপাতত একটি গোশালায় রাখতে হবে।’ এদিকে উদ্ধার হওয়া ১৮টি পশুর মধ্যে ইতিমধ্যে দুটি মারা গিয়েছে। এই আবহে বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের সুপ্রিম বেঞ্চ নির্দেশ দেন, ছয় মাসের মধ্যে এই মামলার নিষ্পত্তি করতে হবে।