সম্প্রতি পঞ্জাব এবং হরিয়ানা হাই কোর্ট একটি মামলার প্রেক্ষিতে রায় দেয় যে মুসলিম তরুণীরা অপ্রাপ্ত বয়স্ক হলেও বয়ঃসন্ধিতে বৈধ বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে পারে। উচ্চ আদালতের এই রায়কে খতিয়ে দেখতে চলেছে সুপ্রিম কোর্ট। পাশাপাশি এই রায়ের প্রেক্ষিতে জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনকে নোটিশ পাঠিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সঞ্জয় কিষাণ কউল এবং বিচারপতি অভয় এস ওকা-র ডিভিশন বেঞ্জ এই মামলায় সাহায্য করার জন্য ‘অ্যামিকাস কিউরি’ হিসেবে সিনিয়র অ্যাডভোকেট আর রাজশেখর রাওকে নিযুক্ত করেছে।
উল্লেখ্য, এই মামলায় জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের পক্ষ থেকে সওয়ালকারী আইনজীবী ছিলেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা। তিনি উচ্চ আদালতের রায়ের দুটি প্যারাগ্রাফের (পর্যবেক্ষণ) উপর স্থগিতাদেশ দেওয়ার জন্য আর্জি জানান শীর্ষ আদালতের কাছে। কমিশনের পক্ষের আইনজীবীর যুক্তি, এটি বাল্য বিবাহ এবং পকসো আইনের আওতায় পড়ছে।
উল্লেখ্য, মুসলিম পার্সনাল ল’র আওতায় এক মুসলিম দম্পতিকে বিয়ের অনুমতি দিয়েছিল পঞ্জাব ও হরিয়ানা হাই কোর্ট। সেই বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ স্ত্রী ১৬ বছরের ছিলেন। তবে আদালত জানায়, মুসলিম পার্সনাল ল’ অনুযায়ী, যেহেতু সেই তরুণী বয়ঃসন্ধি পার করেছে, তাই অপ্রাপ্তবয়স্ক হলেও বৈধ বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার অধিকার রয়েছে তাঁর। উচ্চ আদালত বলে, ‘মুসলিম মেয়ের বিয়ের বিষয়টি মুসলিম পার্সোনাল ল’ অনুযায়ী হয়।’ তবে কমিশনের যুক্তি, হাই কোর্টের এই রায়ের অর্থ, দেশে বাল্য বিবাহকে অনুমতি দেওয়া হচ্ছে এবং বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ আইন, ২০০৬-কে অমান্য করা হচ্ছে। তাছাড়া উচ্চ আদালতের এই রায় পকসো আইনকেও লঙ্ঘন করছে বলে দাবি করেছে জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশন।