বাংলা নিউজ > ঘরে বাইরে > SC on Harassment during NRC: NRC-র সময় সংখ্যালঘুদের হেনস্থার অভিযোগে আবেদন, কী বলল সুপ্রিম কোর্ট?

SC on Harassment during NRC: NRC-র সময় সংখ্যালঘুদের হেনস্থার অভিযোগে আবেদন, কী বলল সুপ্রিম কোর্ট?

এনআরসির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ (ফাইল ছবি)

আবেদনকারীর দাবি ছিল, ২০১৯ সালের ৩১ অগস্ট প্রকাশিত হওয়া এনআরসির ‘চূড়ান্ত খসড়া’ থেকে যাতে কারও নাম বাদ না দেওয়া হয়।

অসমে এনআরসি প্রক্রিয়া চলাকালীন ধর্মীয় এবং ভাষাগত সংখ্যালঘুদের ওপর হেনস্থা করা হয়েছিল। এই দাবি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলার আবেদন করা হয়েছিল। তবে সেই আবেদন গ্রহণ করল না শীর্ষ আদালত। পাশাপাশি আবেদনকারীকে গুয়োহাটি হাই কোর্টে এই সংক্রান্ত মামলার আবেদন জানানোর অনুমতি দেয় বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় এবং বিচারপতি হিমা কোহলির ডিভিশন বেঞ্চ।

এর আগে এই সংক্রান্ত মামলার আবেদন ‘অগোছালো’ থাকায় শুনানি পিছিয়ে দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। এই আবহে গত শুক্রবার আবেদনকারীর পক্ষ থেকে অ্যাডভোকেট আদিল আহমেদ নতুন করে এই মামলার আবেদন জানান সুপ্রিম কোর্টে। তবে সুপ্রিম কোর্টের তরফে আবেদনকারীকে আগে হাই কোর্টে যেতে বলা হয়। শীর্ষ আদালত জানায়, আপিলের সময় যদি এই মামলা সুপ্রিম কোর্টে আসে, তাহলে হাই কোর্টের রায় এবং পর্যবেক্ষণ তাদের সাহায্য করবে। বিচারপতি চন্দ্রচূড় আবেদনকারীকে বলেন, ‘আপনারা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হচ্ছেন না কেন? হাই কোর্ট আগে রায় দিক এই বিষয়ে। তারপর না হয় আমাদের কাছে আসবেন। আমাদেরও হাই কোর্টের রায় এবং পর্যবেক্ষণ থেকে এই মামলা সম্পর্কে একটি ধারণা তৈরি হবে।’

উল্লেখ্য, আবেদনকারীর দাবি ছিল, ২০১৯ সালের ৩১ অগস্ট প্রকাশিত হওয়া এনআরসির ‘চূড়ান্ত খসড়া’ থেকে যাতে কারও নাম বাদ না দেওয়া হয়। আবেদনকারীর দাবি, ‘চূড়ান্ত খসড়া’ থেকে বাদ পড়া ব্যক্তিরা যাতে নিজেদের স্বপক্ষে প্রমাণ দেওয়ার পরই এই নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পাশাপাশি, সঠিত তথ্যপ্রমাণ ছাড়া ‘সন্দেহজনক’ ভোটারদের চিহ্নিতকরণ বন্ধ করার আর্জিও জানিয়েছেন আবেদনকারী। 

এদিকে অপর এক সেট আবেদনে দাবি জানানো হয়েছে, ফরেনারস অ্যাক্ট, ১৯৪৬ এবং ফরেনারস (ট্রাইবুনাল) অর্ডারস, ১৯৬৪ সংশোধন করা হোক। প্রসঙ্গত, ফরেনারস অ্যাক্ট, ১৯৪৬-এর অধীনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নাগরিকত্ব নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার অনুমতি দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। পাশাপাশি শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ ছিল, বাংলাদেশ থেকে শরণার্থীদের আসার কারণেই অসমে অশান্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। আবেদনকারীর যুক্তি, এই পর্যবেক্ষণের ফলে নাগরিকত্ব প্রমাণ করার দায়িত্ব সাধারণ মানুষের ঘাড়ে গিয়ে পড়েছে। আইনত সবসময় অভিযোগকারীকে (এই ক্ষেত্রে সরকার) অভিযোগ প্রমাণ করতে হয়। তবে এই ক্ষেত্রে অভিযুক্তকে (এই ক্ষেত্রে এনআরসি থেকে নাম পড়া ব্যক্তি) প্রমাণ করতে হচ্ছে যে তিনি নির্দোষ। যদিও সংবিধানের ৩২ নং ধারার আওতায় সুপ্রিম কোর্টের আগের রায়কে পুনর্বিবেচনা করতে পারবে না বলে আগেই জানিয়ে দিয়েছিল শীর্ষ আদালত।

বন্ধ করুন