উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, হিমাচলপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ডের মতো একাধিক রাজ্যে ‘লাভ জিহাদ’ বিরোধী আইন আনা হয়েছে। এই আইনের সাংবিধানিক বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে আবেদন করা হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। সেই আবেদনের শুনানিতে সম্মতি জানাল শীর্ষ আদালত। তিস্তা শীতলবাদের এনজিও ‘সিটিজেনস ফর জাস্টিস অ্যান্ড পিস’-এর হয়ে এদিন আদালতে সওয়াল করেন আইনজীবী সিইউ সিং। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চের সামনে আইনজীহী সিইউ সিং এই মামলার দ্রুত শুনানির আবেদন জানান তিনি।
আইনজীবী সিইউ সিংয়ের দাবি, শফিন জাহানের মামলায় সুপ্রিম কোর্ট ইতিমধ্যেই জানিয়েছিল যে নিজের ধর্ম বা বিশ্বাস বদলের অধিকার রয়েছে ভারতীয়দের। সংবিধানের ২৫ নং ধারায় ধর্মান্তরিত হওযার স্বাধীনতা রয়েছে। এই আবহে উত্তরপ্রদেশের ‘বেআইনি ধর্মান্তর নিষিদ্ধকরণ’ অধ্যাদেশ এবং উত্তরাখণ্ডের ‘ধর্মের স্বাধীনতা আইন, ২০১৮’-এর সাংবিধানিক বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন আবেদনকারীর আইনজীবী। এই আবহে এই মামলা গ্রহণে সম্মতি জানায় আদালত। তবে মামলার পরবর্তী শুনানির তারিখ এখনও জানানো হয়নি।
এর আগে মধ্যপ্রদেশ, হিমাচলপ্রদেশের লাভ জিহাদ বিরোধী আইনকেও চ্যালেঞ্জ করা হয়েছিল। ২০২১ সালে এর প্রেক্ষিতে নোটিশ জারি করা হয়েছিল রাজ্যগুলিকে। এর আগে গতবছর মধ্যপ্রদেশ সরকার নির্দেশ জারি করে বলে, ভিনধর্মে বিয়ে করতে হলে এবং এই ধরনের বিয়ের ক্ষেত্রে কেউ যদি স্বেচ্ছায় ধর্মান্তরিত হতে চান, তাহলে দুই মাস আগেই সেটা প্রশাসনকে জানাতে হবে। এদিকে উত্তরপ্রদেশে বিবাহের মাধ্যমে ধর্মান্তরিত হওয়ার বিষয়টি অপরাধের সামিল। এই সব ক্ষেত্রে অভিযুক্তের দোষ প্রমাণিত হলে তার জেল হতে পারে বেশ কয়েক বছরের।