স্থানীয়দের চাকরিতে সংরক্ষণ: সিদ্ধান্ত নিতে রাজি শীর্ষ আদালত

কিছু প্রতিষ্ঠানের তরফে এই আইনের বিরোধিতা করা হয়েছে। কিন্তু অন্তত ৯০০ প্রতিষ্ঠান চাইছে এই আইনটি লাগু করা হোক।

স্থানীয়দের চাকরিতে সংরক্ষণ নিয়ে মামলা ঝুলে রয়েছে তিনটি হাইকোর্টে (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্য পিটিআই)

হরিয়ানা স্টেট এমপ্লয়মেন্ট অফ লোকাল ক্যানডিডেট অ্যাক্ট ২০২০র উপর স্থগিতাদেশ জারি করেছিল আদালত। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল হরিয়ানা সরকার। এদিকে আদালতে বিচারপতি এল নাগেশ্বরা রাও এবং বিআর গাভাই জানিয়েছিলেন, এব্যাপারে কিছু বলার আগে জানিয়ে রাখা ভালো অন্ধ্র প্রদেশ ও ঝাড়খন্ডে ঠিক একই ধরণের আইন পাস হয়েছিল। কিন্তু সেখানেও সংশ্লিষ্ট রাজ্যের হাইকোর্টে এনিয়ে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে মামলা হয়েছে। সেক্ষেত্রে দেশের অন্তত তিনটি হাইকোর্টে বেসরকারি ক্ষেত্রে স্থানীয়দের কাজের অগ্রাধিকার সংক্রান্ত ব্যাপারে মামলা ঝুলে রয়েছে।

এদিকে আদালতের তরফে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহেতাকে বলা হয় এনিয়ে হাইকোর্টে যে বকেয়া মামলা রয়েছে তার পরিস্থিতি কী রয়েছে সেটা খোঁজ নিয়ে দেখার জন্য। বিচারপতিদের বেঞ্চ জানিয়েছে যদি হাইকোর্টে গোটা বিষয়টি ঝুলে থাকে তবে মামলাগুলি সুপ্রিম কোর্টে নিয়ে আসা যায় ও সবপক্ষ যদি সহমত থাকে তবে এনিয়ে আইনের সব দিকে খতিয়ে দেখা যেতে পারে। 

এদিকে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহেতা জানিয়েছেন, রাজ্য়গুলিতে স্থানীয় অধিবাসীদের কাজ পাওয়ার ক্ষেত্রেও নানা সংকট থাকে। তবে শুধু জন্মগতভাবে সেখানকার বাসিন্দা কিনা এটা না দেখাই ভালো। তিনি ওই জায়গায় বাস করছেন কি না সেটাই দেখা যেতে পারে। পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন, কিছু প্রতিষ্ঠানের তরফে এই আইনের বিরোধিতা করা হয়েছে। কিন্তু অন্তত ৯০০ প্রতিষ্ঠান চাইছে এই আইনটি লাগু করা হোক। এদিকে পঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্ট স্থগিতাদেশ দেওয়ার সময় জানিয়েছিল, শুধু ওই জায়গার বাসিন্দা বলে তাঁকে কাজে নিতে হবে এমন কোনও আইনকে কী সরকার উৎসাহ দিতে পারে?