সরকারপন্থী সদস্য চাষী আইন সংক্রান্ত কমিটিতে নিযুক্ত করেছে সুপ্রিম কোর্ট, সেই সংক্রান্ত অভিযোগ কার্যত খারিজ করল আদালত। এদিন সুপ্রিম কোর্টের তরফ থেকে বলা হয় যে এই কমিটির শুনানি করার ক্ষমতা নেই। তারা শুধু রিপোর্ট দেবে সুপ্রিম কোর্টের কাছে।
ইতিমধ্যেই চার সদস্যের মধ্যে একজন ছেড়ে নিয়েছেন কমিটি কারণ চাষীরা মনে করে যে ভূপিন্দর সিং মান সরকারপন্থী। এদিন ভারতীয় কিষান পার্টির তরফ থেকে বলা হয় যে অনেকের মনে এই আশঙ্কা আছে যে কতটা ন্যায্য ভাবে চাষীদের কথা শুনবেন এই কমিটির সদস্যরা। এতেই অসন্তুষ্ট হয় আদালত। বিচারপতিরা বলেন যে আপনারা লোকজনদের পক্ষপাতদুষ্ট বলে অভিযোগ করে আদালতের ওপর সন্দেহ জ্ঞাপন করতে পারেন না। যাদের কমিটিতে নিযুক্ত করা হয়েছে তাদের সম্বন্ধে এরকম কোনও কথা যে আদালত বরদাস্ত করবে না, সেটা সাফ করে দেন বিচারপতিরা।
এদিন আদালত বলে যে পক্ষপাতের প্রশ্ন আসছে কি করে যেখানে তাদের শুনানির কোনও ক্ষমতাই নেই। তারা শুধু চাষীদের কথা শুনে রিপোর্ট দেবে। আদালত বলে যে একটা সংস্কৃতি হয়ে গিয়েছে যাদের পছন্দ না তাদেরকে যা ইচ্ছে তাই বলার। যাদেরকে নিযুক্ত করা হয়েছে তাদের মান মর্যাদা ধুলোয় মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে আদালত অভিযোগ করে। আদালত যে জনগণের মতের দ্বারা পরিচালিত হবে না, সেটাও সাফ করে দেয় সিজেআইয়ের বেঞ্চ। আদালত বলে যে অনেক সময় বিচারপতিরাও প্রাথমিক ভাবে একটি মত পোষণ করেন, কিন্তু পরে শুনানির পর উলটো রায় দেন সব কিছু বিচার বিবেচনা করার পর। যারা কমিটিতে আছেন তারা কৃষিক্ষেত্রের সবচেয়ে বড় নাম বলে জানায় আদালত।
আদালতে প্রশান্ত ভূষণ জানান যে তাঁর মক্কেলরা কমিটির সঙ্গে কথা বলতে চায় না। তখন আদালত বলে যে কথা চাষীরা নাই বলতে পারে, কিন্তু বিক্ষোভ থামানোর প্রয়োজন কারণ মানুষের অসুবিধা হচ্ছে। তবে সরকারের তরফ থেকে যা আশা করা হচ্ছিল যে সুপ্রিম কোর্ট হয়তো কোনও নির্দেশ দেবে ট্র্যাক্টর মিছিল বন্ধ করতে, সেটা পূর্ণ করা হয়নি। পুরো বলটি পুলিশের কোর্টে ঠেলে দেয় আদালত ও তাদের পিটিশন প্রত্যাহার করে নিতে বলে।
বুধবার বিকালে যদিও চাষীদের সঙ্গে সরকারের আলোচনায় কিছুটা অগ্রগতি হয়েছে। দেড় বছররে জন্য কৃষক আইন স্থগিত রাখার প্রস্তাব দিয়েছে কেন্দ্র। সেটা ভেবে দেখার আশ্বাস দিয়েছে চাষীরা। যদি চাষীরা মেনে নেয়, তাহলে হয়তো সুপ্রিম কোর্ট নিযুক্ত কমিটির প্রাসঙ্গিকতাই শেষ হয়ে যাবে।