কোভিডে ও মিউকরমাইকোসিসে মৃত্যু হওয়া ব্যক্তির পরিবারকে ৪ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ব্যাপারে শীর্ষ আদালতে আবেদন করা হয়েছিল। সেই প্রেক্ষিতে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিমকোর্ট। তবে জাতীয় বিমা স্কিমের অধীনে কোভিডকে অন্তর্গত করা নিয়ে কোনও নির্দেশ দিল না সুপ্রিমকোর্ট।
গৌরব কুমার বনসল এবং রীপক কনসল নামক দুই আইনজীবীর দায়ের করা জনস্বার্থ মামলার প্রেক্ষিতে শীর্ষ আদালতে বিচারপতি অশোক ভূষণ এবং এমআর শাহের ডিভিশন বেঞ্চ রায় দিয়ে নির্দেশ দেয় যে কোভিডে মৃতদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। সেই মামলার প্রেক্ষিতেই মামলাকারীরা ১৫তম ফিন্যান্স কমিশনের জাতীয় বিমা প্রকল্পে বিপর্যয়ে মৃতদের মৃত্যু সংক্রান্ত অবস্থানটি উত্থাপন করেন। তবে বিমা প্রকল্পে কোভিডকে অন্তর্গত করা নিয়ে কোনও নির্দেশ দেয়নি সুপ্রিমকোর্ট।
করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হলে তার প্রেক্ষিতে কোনও বিমার ব্যবস্থা নেই বলে সুপ্রিমকোর্টকে জানিয়ে দিয়েছিল কেন্দ্র। অতিমারীকে 'রিস্ক ইনস্যুরেন্স কভারেজ'-এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়ে কোনও পরিকল্পনা নেই বলেও জানিয়ে দিয়েছিল কেন্দ্র। হলফনামায় স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দেওয়া হল যে শুধুমাত্র ১২টি প্রাকৃতিক দুর্যোগের ক্ষেত্রেই মিলবে ক্ষতিপূরণ।
এর আগেও কেন্দ্রের তরফে সুপ্রিমকোর্টে বলা হয়েছিল, কোভিডে মৃত সকল ব্যক্তির পরিবারকে যদি ৪ লক্ষ টাকা করে দিতে হয় তাহলে দুর্যোগ মোকাবিলা তহবিল শেষ হয়ে যাবে। তাই এই পরিমাণ ক্ষতিপূরণ দেওয়া সম্ভব না এই ক্ষেত্রে। তবে পরিমাণ নির্দিষ্ট করে উল্লেখ না করলেও কেন্দ্রকে ক্ষতিপূরণ যে দিতে হবে, তা সাফ জানিয়ে দেয় সুপ্রিমকোর্ট।